খেলাধূলা ডেস্ক
আর্জেন্টাইন জায়ান্টদের প্রতি তার ভালোবাসা এতটাই। তবে এই সম্পর্কের ইতি ঘটে গেল। ক্যারিয়ারের গোধূলি বেলায় আবারও প্রিয় ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড কার্লোস তেভেজ।
বোকা জুনিয়র্সকে বিদায় বলে দিলেও বুটজোড়া পাকাপাকিভাবে তুলে রাখবেন কি না তা নিশ্চিত করেননি তেভেজ।
‘আমার রক্ত লাল নয়, বরং নীল ও হলুদ’। বোকা জুনিয়র্সের জার্সির দুই ঐতিহ্যবাহী রঙের প্রতি ইঙ্গিত করে এমনটাই বলেছিলেন কার্লোস তেভেজ।
তবে জানিয়েছে, পরিবারকে সময় দিতে সাময়িকভাবে ফুটবলকে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রায় দুই যুগের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারেরও ইতি টানছেন তিনি।
২০০১, ২০১৫ ও ২০১৮ তিন দফা আর্জেন্টিনার ঐতিহাসিক ক্লাবটির জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন তেভেজ। শুক্রবার (০৪ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘শারীরিকভাবে আমি এখনও খেলার জন্য প্রস্তুত। তবে মানসিকভাবে নয়। যদিও এখানেই শেষ নয়। আবারও দেখা হবে। জানি না অবসর নিচ্ছি নাকি। যদি ফুটবলে ফিরি তাহলে বোকায় আর দেখা যাবে না। ’
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতেছেন তেভেজ। জুভেন্টাসের পক্ষে সিরি আ’ ট্রফিও ছোঁয়া হয়ে গেছে তার। ২০০৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে অলিম্পিকে সোনাও জিতেছেন তেভেজ। তৃতীয় দফায় ২০১৮ সালে বোকায় যোগ দিয়ে দুটি লিগ শিরোপা তুলেছেন।
সম্প্রতি বুয়েন্স আর্য়াসের দলটিকে কোপা লিবার্তাদোসের শেষ ষোলোতে উঠতে সহায়তা করেছেন তেভেজ। আগামী জুলাইয়ে মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে ব্রাজিলিয়ান দল অ্যাতলেতিকো মিনেইরোর বিপক্ষের নামার কথা বোকার। তার আগেই বিদায় বলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ৩৭ বছর বয়সী ফুটবলার।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৭৩ ম্যাচ খেলেছে ১৩ গোল করেছেন তেভেজ। ২০০৬ ও ২০১০ বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন লিওনেল মেসির সঙ্গে। এই দলের হয়ে তিনবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছেন। জাতীয় দলের ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘আমার আর্জেন্টিনার ক্যারিয়ার শেষ। আমি আগেও বলেছি এখানে যদি কোনো ক্লাবের হয়ে খেলি তবে তা হবে নিঃসন্দেহে বোকা জুনিয়র্স। ’
গত ফেব্রুয়ারিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৮ বছর বয়সে মারা যান তেভেজের বাবা সেগুন্দো তেভেজ। ওই সময় বাবার মৃত্যুতে শোক প্রকাশের সময়ও পাননি তিনি। একসময় করিন্থিয়াস, ওয়েস্টহ্যাম, সাংহাই শেনহুয়ার হয়ে খেলা এই ফুটবল তারকা বলেন, ‘বোকা আমার কাছে সর্বোচ্চটা চায়। কিন্তু আমি সেই পরিস্থিতিতে নেই। বাবার মৃত্যুর পর শোক প্রকাশের সময়ও পাইনি। বরং আবার খেলায় ফিরতে হয়েছে। বোকা এটাই চায়। ’ কথাটা বলেই কাঁদতে শুরু করেন তিনি।
Discussion about this post