নিজস্ব প্রতিবেদক
আরও এক দফা বাড়িয়ে লকডাউনের মেয়াদ ১৬ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। রোববার (৬ জুন) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ফলে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৩ জুন খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে তা জানা নেই কারোর। তবে আগামী সপ্তাহে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করা গেলে আগস্টে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসির) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১১ লাখ ৬৬ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। সরকার শুধু শিক্ষার্থীদের টিকাকরণের উদ্যোগ নিলেও ২৩ লাখের বেশি ডোজ টিকার প্রয়োজন হবে। এর বাইরে হাজার হাজার শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও টিকা দিতে হবে।
এ বিষয়ে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী সপ্তাহে টিকা প্রদান শুরু করা সম্ভব হলে ঈদুল আজহার পর আগস্টের শুরুতে সব বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে। আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন সরাসরি পরিচালিত হবে।
ইউজিসির সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফেরদৌস জামানও একই কথা বলেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হলে এক মাসের মধ্যে এক লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রদান করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও ঘোষণা দিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে সম্প্রতি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে টিকা প্রদান শেষ হলেই আবাসিক হল খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। তাদের জন্য চলতি মাসেই চীন থেকে আসছে ছয় লাখ ডোজ টিকা। এই টিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাওয়া হয়েছে। তবে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে কবে নাগাদ টিকাকরণ শেষ হবে তা জানা নেই কারোর।
Discussion about this post