আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর দেশটির সরকারের অবর্ণনীয় নির্যাতনের ওপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য এ বছর পুলিৎজার পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংবাদিক মেঘা রাজাগোপালান।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বাজফিড নিউজে কর্মরত আছেন মেঘা।এই পুরস্কার ভাগ করে নিয়েছেন বাজফিডের সহকর্মী অ্যালিসন কিং এবং ক্রিস্টো বাসচেকের সঙ্গে। অ্যালিসন পেশায় আর্কিটেক্ট। ক্রিস্টো একজন প্রোগ্রামার।মেঘাকে প্রতিবেদন তৈরিতে এই দুইজনই সাহায্য করেছিলেন।
শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মুসলমানদের আটকে রাখতে গোপনে নির্মিত বন্দিশিবিরের ওপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি করেন তারা। তাদের ওই সিরিজ প্রতিবেদনে নির্যাতনের ওই সব অবকাঠামো প্রকাশ্যে আসে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জি নিউজের এক প্রতিবেদনে শনিবার বলা হয়েছে, শিনজিয়াংকে ঘিরে মেঘার সিরিজ প্রতিবেদন ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং ক্যাটাগরিতে পুলিৎজার পুরস্কার জিতে নেয়।
এ ব্যাপারে বাজফিড নিউজের পক্ষ থেকে বলা হয়,২০১৭ সালে শিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে কয়েক হাজার মুসলমানকে আটকে রাখা শুরু করে চীন। ওই বছর মেঘাই প্রথম ওই সব শিবিরে যান। যদিও বন্দিশিবিরের অস্তিত্বের অভিযোগ সে সময় বারবার অস্বীকার করেছিল চীন।
মেঘার পুলিৎজার জেতার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বাজফিড বলেছে,চীন সরকার মেঘার অনুসন্ধানী কাজ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। তার ভিসা বাতিল এবং তাকে দেশ থেকে বের করে দিতে চেয়েছিল।পুরো শিনজিয়াং প্রদেশে পশ্চিমা দেশের নাগরিকসহ সাংবাদিকদের প্রবেশ বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিল চীন। তখন বন্দিদের নিয়ে প্রাথমিক তথ্য পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে চীন সরকারের এসব বাধার সামনে দমে যাননি মেঘা। কর্মস্থল লন্ডন থেকে দুই কন্ট্রিবিউটরকে সঙ্গে নিয়ে শিনজিয়াংয়ে উইঘুর নির্যাতন নিয়ে প্রতিবেদনের কাজ অব্যাহত রাখেন তিনি।
সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের জন্য কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব জার্নালিজমের এক বিশেষ বোর্ড সাংবাদিকতার জন্য আমেরিকার সর্বোচ্চ এই পুরস্কার দেয়। এ বছর ১০৫তম বর্ষে পা দিল এই পুরস্কার বিতরণ।
Discussion about this post