আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্বের ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) পাল্টা প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাজ্যের চলমান জি-৭ সম্মেলন থেকে আজ শনিবার অবকাঠামো নির্মাণে নতুন এই বৈশ্বিক পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালের কারবিস বেতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ছাড়াও এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ দুই নেতাও এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এই সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেবেন ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার নেতারা।
জি-৭-এর নতুন প্রকল্প প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা বলেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে চীনের নাগরিকদের যে কাজ করানো হয় সেই বিষয়টি যাতে সম্মেলনে সামনে আনা হয়, সেই চেষ্টা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া সম্মেলনের শেষে যে প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে তাতে বেইজিংয়ের যাতে সমালোচনা করা হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন। ওই কর্মকর্তা বলেন, যে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা হচ্ছে তা শুধু চীনকে মোকাবিলা করার জন্য নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে বাণিজ্য করে থাকি, আমাদের যে আদর্শ, আমাদের যে মূল্যবোধ তা চীনের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে—এমন কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ আমরা এখনো নিইনি।’
২০১৩ সালে চীন এই বিআরআই প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১০০টির বেশি দেশ যুক্ত হয়েছে। এই বিআরআই প্রকল্পের মধ্যে রেলওয়ে, সড়ক, বন্দর, মহাসড়ক ও অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জি-৭ সম্মেলন শুরু হয়। এর উদ্বোধন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আজ শনিবার একটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেই অধিবেশনের পর ‘কারবিস বে ডিক্লারেশন’ উত্থাপন করবেন জি-৭-এর নেতারা। সেখানে করোনা–পরবর্তী যেকোনো মহামারি মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা ঘোষণার কথা রয়েছে তাঁদের।
Discussion about this post