শিক্ষার আলো ডেস্ক
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) প্রধান ফটকের সামনে আসাবিক হল-ক্যাম্পাস না খুলে অনলাইন বা অফলাইন পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন করছে । আজ রবিবার (১৩ জুন) দুপুর ১২টায় মানববন্ধন শুরু করেন তারা।
‘বৈষম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার মান ধ্বংসের কারণ’ এমন দাবি করো শিক্ষার্থীরা বলেন, হল ক্যাম্পাস বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেয়ার মতো অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত থেকে প্রশাসনকে সরে আসতে হবে। সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না জানিয়েই অনলাইনে বা অফলাইনে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার মতো সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে অবিলম্বে হল ক্যাম্পাস সম্পূর্ণরূপে খুলে দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
‘অবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন’ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন, কিছুদিন আগে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও বেসরকারি সংস্থা একশনএইড এক জরিপ করে দেখেছে, ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন পাঠের বাইরে। যারা এতদিন ক্লাস করেনি, তারা পরীক্ষা দেয়ার জন্যও প্রস্তুত নয়। শিক্ষার্থীরা বলেন, যদি স্বশরীরে ক্লাস না নিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়, তবে তা ৪৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য গ্রহণযোগ্য হবে, কিন্তু ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য গ্রহণযোগ্য না। ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থীর প্রতি এ ধরনের বৈষম্য কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, হল না খুলে পরীক্ষার আয়োজন করলে অনেক শিক্ষার্থীকে মেস ভাড়া করতে হবে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পক্ষে তা ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। এমনিতেই সারা দেশে লকডাউন চলছে। গরীব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হাতেও টাকা নেই। শিক্ষার্থীদের টিউশনীও বন্ধ। এর মধ্যে মেস ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা তারা পাবে কোথায় ? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরীক্ষা ফেলতে পারে, কিন্তু দরিদ্র শিক্ষার্থীরা সেখানে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। পরীক্ষা না দিতে পেরে তারা ঝরে পড়বে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের প্রতি এ ধরনের নিকৃষ্ট বৈষম্য কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।
Discussion about this post