শিক্ষার আলো ডেস্ক
করোনায় দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থী ঝুঁকে পড়ছেন অনলাইন আসক্তিতে, অনেকেই আবার পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে জড়িয়ে পড়ছে শিশুশ্রমসহ বিভিন্ন কাজে। এমতাবস্থায় সারাদেশে আট থেকে ১৪ বছর বয়সী ড্রপ আউট (ঝরে পড়া) শিক্ষার্থীদের সংখ্যা জানতে জরিপ শুরু করেছে সরকার।
ঝরে পড়া শিক্ষার্থী চিহ্নিত করতে জরিপ পরিচালনায় গত ২৭ মে নির্দেশনা দিয়ে দেশের সব উপজেলায় চিঠি পাঠান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক।
নির্দেশনায় বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪)-এর আওতায় আউট অব স্কুল চিলড্রেন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো (বিএনএফই)। রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক-২) ছাড়া দেশের ৬৪ জেলার ৩৪৫টি উপজেলায় এবং সব সিটি করপোরেশনসহ ১৫টি শহর এলাকায় এটি বাস্তবায়ন করা হবে। রস্ক বাস্তবায়ন কৌশল অনুযায়ী শিশু নির্বাচন কমিটির (ক্যাম্পেইন কমিটি) সভাপতি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ক্যাচমেন্ট এরিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
যেসব এলাকায় বিদ্যালয়বহির্ভূত শিশু রয়েছে তার একটি ম্যাপিং এবং তালিকা প্রস্তুত করে বিদ্যালয়বহির্ভূত ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের শনাক্ত করার জন্য জরিপ পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া জরিপ করা শিক্ষার্থী তালিকাটি যাচাই-বাছাই করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
কতজন ভর্তি আছে এবং কতজন ড্রপ আউট হয়েছে তা জানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, একটি বিষয় আমাদের নজরে এসেছে। দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায় অনেক বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। তারা কোথায় থেকে গিয়ে ভর্তি হয়েছে, তারা কি ঢাকা শহর থেকে গিয়ে ভর্তি হয়েছে নাকি অন্য কোথাও থেকে। এছাড়া অনেক কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। এদের অনেকে বিভিন্ন এলাকার বিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পুরো চিত্র পেলে আমরা বুঝতে পারবো, ঢাকা শহরে প্রাথমিকের শিক্ষার্থী কমে গেছে কিনা। শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা যাবে। ড্রপ আউট কত তাও চিহ্নিত করা যাবে।
Discussion about this post