আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়।করোনা এখান থেকেই প্রথম মহামারি রূপ নেয় । এরপর গত বছরের ২৩ জানুয়ারি প্রথম লকডাউনের আওতায় আনা হয় উহান শহরকে। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাইরের জগৎ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন রাখা হয় শহরটিকে। সে সময় এত কড়া বিধিনিষেধ আরোপে অবাক হয়েছিল পুরো বিশ্ব।
এখন আবারও বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে যেন সবকিছু মহামারির আগের মতো স্বাভাবিক করে নিল উহানের বাসিন্দারা। গত রোববার উহানের সেন্ট্রাল চায়না নরমাল ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক পর্যায়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সমবেত হয়েছে ১১ হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা গাঢ় নীল রংয়ের গাউন পরে উপস্থিত হন। কিন্তু তারা কেউই করোনার প্রাথমিক সুরক্ষাবিধি মেনে চলেননি। একজনও মাস্ক পরে আসেননি। এমনকি মানা হয়নি কোনো ধরনের সামাজিক দূরত্বও।
সমাবর্তনের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর পাশাপাশি উল্লেখ করা ছিল একটি চীনা কবিতার পংক্তি- ‘এই বিশ্ব এক মহাসমুদ্র আর আমরা সবাই হচ্ছি সেই সমুদ্রে সন্তরণরত মাছ।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার শিক্ষার্থীকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। করোনাবিধির কারণে ২০২০ সালে না হওয়া সমাবর্তন ছিল এটি। এসময় উপস্থিত অতিথিরা বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন। গত বছর উহানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছিল। প্রদেশটিতে নেয়া হয়েছিল সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।
এদিকে চীনে এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে ভারতীয় ধরন বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। সম্প্রতি দেশটির গুয়াংজুতে ৭৫ বছর বয়সী এক নারীর শরীরে এ ধরনটি শনাক্ত হয়েছে।
করোনা প্রথমবার উহানে শনাক্ত হলেও চীন বরাবরই বলে আসছে যে, করোনার মূল উৎস উহানে নয়। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই মহামারি সম্ভবত চীন, স্পেন, ইতালি অথবা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কোনো দেশে শুরু হয়েছে। হিমায়িত খাদ্যের মাধ্যমে এটি চীনে প্রবেশ করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
Discussion about this post