নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দেখাশোনা বা অগ্রগতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রতিষ্ঠা করেন। তার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুণগত শিক্ষা ও গবেষণার সূতিকাগার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। এজন্য প্রয়োজন সব ক্ষেত্রে ইনোভেশন।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যে ইউজিসি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, সকলের প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কাঙ্ক্ষিত সেবা দান সম্ভব হবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আলমগীর বলেন, যেকোনো ইনোভেশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংশ্লিষ্ট সবার কমিটমেন্ট এবং নতুন কিছু করার আকাঙ্ক্ষা। কমিটমেন্টের সঙ্গে আকাঙ্ক্ষা যুক্ত হলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়। সহজে, কম সময়ে ও কম খরচে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দানের নতুন ধারণার সূচনা ও বাস্তবায়ন করতে ইউজিসির পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে উচশিক্ষাখাতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৩ লাখের অধিক। দেশে ১৫০টির অধিক পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেবা সহজীকরণ ও সেবা দানে ইনোভেশনযুক্ত করা না গেলে এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব হবে না।
এছাড়া কর্মশালায় ইউজিসি পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া, ড. শামসুল আরেফিন, মো. কামাল হোসেন, ড. মো. ফখরুল ইসলাম, মো. ওমর ফারুখ, মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া ও মো. শাহ আলম; যুগ্ম-সচিব ও অতিরিক্ত পরিচালক জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীর, মো. রেজাউল করিম হাওলাদার, ড. দূর্গা রানী সরকার, মো. ফজলুর রহমান, মোছা. জেসমিন পারভীন ও নাহিদ সুলতানা অংশ নেন। ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও উদ্ভাবনের ফোকাল পয়েন্ট রবিউল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
Discussion about this post