শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) দেশে উদ্ভাবিত করোনার ‘বঙ্গভ্যাক্স’ টিকার হিউম্যান ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে । বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে বিএমআরসি থেকে টিকাটির উদ্ভাবক ও উৎপাদক প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেককে শর্তসাপেক্ষে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে শর্ত বিষয়ে বিএমআরসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন জানিয়েছেন ভুল ত্রুটি ঠিক করলে অর্থাৎ শর্ত পূরণ করলে পুরোপুরি অনুমোদন দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়ার জন্য আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু তাদের অবশ্যই কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যেমন- ফেইজ-১ ট্রায়ালের আগে বানর/শিম্পাঞ্জি/মানব সমগোত্রীয় কোনো প্রাণীর শরীরে প্রয়োগের ফলাফল জমা দিতে হবে। এটা বিএমআরসির একটি নিয়ম। এই নিয়ম-নীতি পালন করলেই আমরা অনুমতি দেবো। আগামী রোববারের মধ্যে কোম্পানিগুলোতে চিঠি দিয়ে জানানো হবে যে, মানুষের আগে বানরের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের শর্ত পূরণ করতে হবে।
জানা গেছে, বিএমআরসির অনুমতি সাপেক্ষে খুব শিগগিরই শতাধিক মানুষের ওপর দেশীয় এই টিকার ট্রায়াল চালানো হবে। সূত্রমতে, অনুমোদনের সাত থেকে দশদিনের মধ্যে রাজধানীর কোনো একটি বেসরকারি হাসপাতালে ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর এর প্রয়োগের কথা রয়েছে।
এর আগে গ্লোব বায়োটেকের বঙ্গভ্যাক্স প্রাণীদেহে কার্যকর বলে গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল জার্নালে। এরপর মানবদেহে ট্রায়ালের জন্য বিএমআরসির অনুমোদনের অপেক্ষা ছিল প্রতিষ্ঠানটির। সবশেষ প্রতিষ্ঠানটিকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেয়া হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল জার্নাল ‘ভ্যাকসিনে’ বলা হয়, বঙ্গভ্যাক্স হলো এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি বিশ্বের প্রথম এক ডোজের কার্যকরী টিকা যা সার্স-কভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সফলভাবে মানবকোষ ও প্রাণীদেহে সুরক্ষা দিয়েছে। এ গবেষণাপত্র প্রকাশের পর ফের আলোচনায় আসে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের ভ্যাকসিন।
প্রসঙ্গত, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে টিকা উৎপাদনে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি পায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি সেই অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য বিএমআরসিতে চিঠি দেওয়া হয়।
Discussion about this post