নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা সংক্রমণের কারণে নভেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠান হবে । সীমিত পরিসরে প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে শতবর্ষ পূর্তির মূল অনুষ্ঠানের অগ্রবর্তী অনুষ্ঠান পহেলা জুলাই আয়োজন করা হবে।
এসব কর্মসূচি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, আগামী ১ নভেম্বর ২০২১ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে। রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর জনাব মো. আবদুল হালিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
শতবর্ষের কর্মসূচি:
১. ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রো-উপাচার্যদ্বয়, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে ডিন, প্রভোস্ট এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রক্টর উপস্থিত থাকবেন।
অনুষ্ঠানটি লাইভ স্ট্রিমিং এবং ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয় আইপি টেলিভিশনে সম্প্রচার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট, ফেসবুক লাইভে সম্প্রচার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন পরিচালক, আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) সেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এস্টেট ম্যানেজার, ঢাবি।
জাতীয় সংগীত বাজানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বেলুন ও ফেস্টুনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২. বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বা Theme স্মরণিকা কমিটি উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের দিন বিকেল ৪টায় প্রশাসনিক ভবনে প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনলাইন ভার্চ্যুয়াল মিটিং প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচনা সভায় বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবী সর্বজন শ্রদ্ধেয় আবদুল গাফফার চৌধুরী সংযুক্ত হয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। এছাড়াও এ আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রো-উপাচার্যদ্বয়, কোষাধ্যক্ষ, প্রাক্তন উপাচার্য, ডিন, প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট এবং সমিতিগুলোর সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকরা অনলাইনে সংযুক্ত থাকবেন। অনুষ্ঠানটি ফেসবুক লাইভে প্রচারিত হবে।
৪. প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, পরিচালক, আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) সেল, পরিচালক, পাবলিক রিলেশন্স উপস্থিত থাকবেন। আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করার জন্য রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমন্বয় সাধনের জন্য পরিচালক, আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) সেলকে অনুরোধ করা হলো।
৫. চারুকলা অনুষদের ডিনের সহায়তা নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য একটি ব্যাকড্রপ ব্যানার এবং অনলাইন আলোচনা সভাটির বিষয়ে প্রচারণার জন্য একটি ডিজিটাল ব্যানার প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন প্রধান প্রকৌশলী। প্রস্তুতকৃত ডিজিটাল ব্যানার দুই/তিনদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পরিচালক, আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) সেল।
৬. বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশের লক্ষ্যে বাংলাবিভাগের চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন-
ড. মো. আবদুর রহিম, (সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ), ড. হোসনে আরা (সহযোগী অধ্যাপক বাংলা বিভাগ), সীমা ইসলাম (সহকারী অধ্যাপক, গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ) ও মাহমুদ আলম (পরিচালক, জনসংযোগ অফিস)
বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন-
Discussion about this post