নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী অর্থবছরে নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ পেয়েছে । চলতি বছরের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সফটওয়্যারও প্রস্তুত হয়েছে। এখন সরকারের সম্মতি পেলে এমপিওভুক্তির আবেদন শুরু হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ আগামী অর্থবছরে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য ৩০০ কোটি টাকা চেয়েছিল ।তবে পুরোটা পাওয়া না গেলেও এমপিওভুক্তি খাতে বরাদ্দ মিলেছে। মন্ত্রণালয় থোক বরাদ্দ থেকে এ টাকা কমবেশি করতে পারবে। তবে তা নির্ভর করবে, যোগ্যতাসম্পন্ন স্কুল-কলেজ পাওয়ার ওপর।
সম্প্রতি এমপিওভুক্তির আবেদন শুরুর বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মোমিনুর রশিদ আমিন বলেন, ‘নতুন নীতিমালা হওয়ায় নতুন সফটওয়্যার তৈরি করতে হয়েছে। সফটওয়্যার তৈরির কাজ শেষ, তবে মাদরাসার কিছু কাজ বাকি আছে। এমপিও আবেদন গ্রহণের সিদ্ধান্ত এলেই এ সফটওয়্যার উন্মুক্ত করে দেব।’
এদিকে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এমপিওভুক্তির জন্য ১০০ কোটি টাকা চেয়েছিল মন্ত্রণালয়। সেখানে বরাদ্দ মিলেছে ৫০ কোটি টাকা। তবে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ নেই বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নতুন এমপিওভুক্তির জন্য আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ রয়েছে। নতুন সফটওয়্যার তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। সেটা শেষ হলেই আবেদন গ্রহণ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সবশেষ ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্তভাবে দুই হাজার ৬১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৯ সালেই সরকার আরো সাতটি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে। এবার এমপিওভুক্তির শর্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে হাজারখানেক প্রতিষ্ঠান শর্ত পূরণ করতে পারে বলে জানা গেছে।
Discussion about this post