উম্মে শায়লা রুমকি
অনেকেই অল্প কারণে উদ্বিগ্ন বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অতি উদ্বেগের কারণে নানা মানসিক সমস্যা হয়। অনেক সময় শারীরিক উপসর্গও দেখা যায়। অতিরিক্ত উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার কারণে দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি কিছু ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে অ্যারোবিক ব্যায়াম বেশ উপকারী। এতে মাংসপেশি শিথিল হয়, শরীরে রক্তের প্রবাহ ত্বরান্বিত হয়। মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ বাড়ায় দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ কমে যায়।
কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন?
যেকোনো ধরনের অ্যারোবিক ব্যায়াম যেমন সাইকেল চালানো, নাচ, জগিং, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা যথোপযুক্ত ব্যায়াম হতে পারে। তবে যাঁরা নতুন ব্যায়াম শুরু করবেন, অথবা হৃদ্রোগ বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ব্যায়াম শুরুর আগে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। যেকোনো অ্যারোবিক ব্যায়াম শুরুর আগে ওয়ার্মআপ প্রয়োজন। ঢিলেঢালা পোশাক পরা এবং আরামদায়ক জুতা পরতে হবে। কিছু ব্যায়াম বাড়িতেই করা যায়। যেমন:
জগিং
এটি খুবই সহজ ব্যায়াম। ঘরের মধ্যে একটি ম্যাটে জগিং শু পরে দাঁড়ান। ধীরে ধীরে ডান ও বাঁ পা ওঠানামা করুন। কিছুক্ষণ পর থেকে এই ওঠানামা দ্রুত করতে থাকুন। এভাবে ১০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত করতে পারেন। তবে ব্যায়ামের সময় ধীরে ধীরে বাড়ানো উচিত।
জগিং জাম্প
দুই পা ফাঁকা করে দাঁড়ান। এবার দুই হাত ওপরে তুলে লাফ দিন। জগিং জাম্পে ১০ মিনিটে ১০০ ক্যালরি শক্তি খরচ হয়। ১০ থেকে ৩০ মিনিট করতে পারেন এ ব্যায়াম।
দড়ি লাফ
মাত্র ২০ মিনিট দড়ি লাফে প্রায় ২২০ ক্যালরি শক্তি খরচ হয়। খুব সোজা ব্যায়াম হলেও এটি উচ্চমাত্রার অ্যারোবিক ব্যায়াম। ১০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত করতে পারেন এ ব্যায়াম।
যেকোনো একটি ব্যায়াম প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে করতে পারেন। আবার এই তিন ব্যায়াম ১০ মিনিট করে ৩০ মিনিট করতে পারেন। তবে ঘরের চেয়ে বাইরে সবুজ ঘাসে ঢাকা কোনো জায়গায় যেমন কোনো উদ্যান কিংবা অক্সিজেনসমৃদ্ধ পরিবেশে ব্যায়াম করলে উদ্বেগ কমানোর ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায়।
লেখক- ফিজিওথেরাপি পরামর্শক, পিটিআরসি
Discussion about this post