আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করা হলেও সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন । শুক্রবার (২৫ জুন) হোয়াইট হাউসে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও জাতীয় ঐক্যমত্যের জন্য গঠিত শীর্ষ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে বেঠকে এই প্রতিশ্রুত দেন বাইডেন।
বাইডেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগানিস্তানের মধ্যকার অংশীদারিত্ব শেষ হচ্ছে না। এটি স্থায়ী হতে চলেছে। আপনারা জানেন আমাদের সৈন্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে আসছে, তবে আমাদের সহযোগিতা শেষ হচ্ছে না।’
বৈঠক শেষে বাইডেন গণমাধ্যমে কথা বলার সময় ‘আফগান নেতাদের মধ্যে ঐক্য তৈরি করতে’ প্রেসিডেন্ট ঘানি এবং আফগান নেতা আবদুল্লাহর ‘কঠোর পরিশ্রমের’ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আফগানরা তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আমাদের সহায়তার কোনো কমতি থাকবে না।’
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ঘানি ২০ বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধবিধ্বংস্ত আফগানিস্তানের জন্য সৈন্যদের ও তাদের পরিবারের ত্যাগ-তিতিক্ষার জন্য ধন্যবাদ জানান। তারা এখন গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বলেও জানান তিনি।
সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে তালেবান নেতাদের সরাতে তার সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি। ঘানি বলেন, ‘ঐক্য, সংহতির জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য কোনোকিছুই আর বাদ যাবে না। আপনারা এই সংকল্প, ঐক্য দেখতে পাবেন এবং যৌথভাবে আমরা সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করবো।’
আল-জাজিরা জানায়, আফগানিস্তানে অবস্থান করা প্রায় চার হাজার সৈন্যবহর আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা নির্ধারিত সময়ের আগেই আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে সেখান থেকে মার্কিন এবং জোট কমান্ডারদের তারা প্রত্যাহার করবে।
চলতি বছরের ১ মে থেকে আফগানিস্তান হতে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি এখন পর্যন্ত নিজেদের ৫০ শতাংশ সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তবে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আনছে যুক্তরাষ্ট্র। সাধারণ মানুষ ও কূটনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দেশটি। নাম প্রকাশ না করা মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। যেখানে বলা হয় কমপক্ষে ৬৫০ জন মার্কিন সেনা আরও কিছুদিন আফগানিস্তানে অবস্থান করবে।
এদিকে তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহিন আল-জাজিরাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে জানান, ১১ সেপ্টেম্বরের পর যদি আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্য থাকে সেক্ষেত্রে তাদেরও ‘প্রতিক্রিয়া জানোনোর অধিকার’ রয়েছে।
Discussion about this post