নিজস্ব প্রতিবেদক
গত বছর থেকেই করোনার কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজে কিছু গতি কম ছিল বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। রবিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, গত এক বছরে করোনায় আমাদের কার্যক্রমের গতি কিছুটা কম ছিল। কিন্তু আগামী এক বছরে সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজের গতি বৃদ্ধি করতে হবে।
এদিকে, দিন যত যাচ্ছে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। স্কুলের পাঠ বন্ধ এক বছরের বেশি সময়। এবছর চারটি বড় বড় পাবলিক পরীক্ষায় করোনার প্রভাব স্পস্ট হয়ে উঠেছে। প্রাথমিক স্তরের প্রাথমিক-ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী, অষ্টমের জেএসসি-জেডিসি মাধ্যমিক স্তরের এসএস ও সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া এবছর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
তবে একই অনুষ্ঠানে আশার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আটকে থাকা পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে তিনি বলেছেন, পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে যে অনিশ্চয়তা আছে, সেগুলো আশাকরি খুব শিগগিরই কেটে যাবে। আমারা খুব শিগগিরই একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবো।
করোনা ধকল কাটিয়ে উঠার সক্ষমতা সরকারের রয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনায় শিক্ষার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার সক্ষমতা আমাদের আছে। পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে এ মুহুর্তে যে ধরনেরর সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার তাই নেয়া হবে। অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের উদ্বোগ উৎকণ্ঠা দূর হবে।
সবশেষ সরকার গত ১৩ জুন আরেকদফা ছুটি বাড়িয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করেছে। আজ সোমবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কঠোর নিষেধ শুরু হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে। ফলে আগামী জুলাই মাসের শুরুর দিকেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নেই।
Discussion about this post