খেলাধূলা ডেস্ক
তখন টান টান উত্তেজনা ম্যাচে । রোমাঞ্চকর ৯০ মিনিটের খেলা ৩-৩ গোলে ড্র হলো। অতিরিক্ত সময়ের খেলাতে অবশ্য কোনও দল গোল করতে পারেনি। ফলে ভাগ্য নির্ধারণ গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে। যাতে ৫-৪ ব্যবধানের জয় নিয়ে শেষ হাসি হেসেছে সুইজারল্যান্ড। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে বিদায় করে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় অঘটনটি ঘটিয়েছে তারা।
সুইজারল্যান্ড পাঁচটি শটেই লক্ষ্যভেদ করেছে। বিপরীতে চারটি শটে লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছে ফ্রান্স। পঞ্চম শট নিতে এসে এমবাপ্পে গোল করতে ব্যর্থ! পিএসজির এই তারকার শট সুইসদের গোলকিপার সমার ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দিয়ে দলকে প্রথমবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে গেলেন!
তাতে এবারের ইউরো থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলদের। ম্যাচের শুরু থেকেই অবশ্য রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছিল। ১৫ মিনিটের মাথায় দারুণ এক গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সুইজারল্যান্ড। স্টিভেন জুবিয়েরের বাড়ানো বলে লাফিয়ে উঠে হেডে গোল করেন হারিস সাফারোভিচ।
এই এক গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায়ই বিরতিতে যায় ম্যাচে। ফিরে আসার দশ মিনিটের মাথায় দারুণ এক সুযোগ আসে সুইডিশদের সামনে। ভিআরের সাহায্যে পেনাল্টি পেয়েছিল তারা। কিন্তু সেখান থেকে গোল করতে পারেননি রিকার্ডো রদ্রিগেজ। ৫৭ ও ৫৯ মিনিটে করিম বেনজেমা ঝলক! প্রথমটিতে এমবাপ্পের পাসে আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদে খেলা এই স্ট্রাইকার। পরের গোলটিতেও এমবাপ্পের অবদান। এমবাপ্পের ব্যাক হিল থেকে গ্রিজমানের ক্রসে বেনজেমা পোস্টের একদম সামনে থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৭৫ মিনিটে ফ্রান্সের স্কোরলাইন হয় ৩-১। পল পগবা বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে আর একটু জাল ছিঁড়েই ফেলছিলেন!
ম্যাচের ৮১ মিনিটে কেভিন এমবুবু ক্রস করেছিলেন হারিসের উদ্দেশ্যে। বলে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে ব্যবধান কমান তিনি। এরপর নির্ধারিত সময়ের একদম শেষ মিনিটে সুইডিশদের উল্লাসে মাতান মারিও গাভরানোভিচ। ম্যাচে ড্রয়ের পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
পরে টাইব্রেকারে নিজেদের প্রথম পাঁচটি শটের সবগুলোতেই গোল করে সুইজারল্যান্ড। প্রথম চার শটে গোল করে ফ্রান্সও। কিন্তু এমবাপের নেওয়া পঞ্চম শট ঠেকিয়ে সুইডিশদের নায়ক বনে গেছেন গোলরক্ষক সোমার।
Discussion about this post