শিক্ষার আলো ডেস্ক
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মডার্নার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে । স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) সন্ধ্যার দিকে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মডার্নার টিকাটি গত ২২ জানুয়ারি জরুরি ব্যবহার্য টিকার তালিকায় যুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এছাড়া জরুরি ব্যবহারের জন্য এই টিকার অনুমোদন দেয় গত ১৮ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইউএস এফডিএ) এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মডার্নার এই টিকা ১৮ বছর এবং তদুর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। এই টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে। টিকাটির সংরক্ষণ তাপমাত্রা ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই টিকা ব্যবহারের আগে ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩০ দিন এবং ৮-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।
এর আগে, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর যেসব টিকাকে জরুরি প্রয়োগের অনুমতি দেয় তার মধ্যে আছে— অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভি, চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক, বেলজিয়ামের তৈরি ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি জেনসেন এবং সুইডেনের তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
এজেন্সি ফ্রান্স প্রেস (এএফপি) হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা জানায়, করোনা রোধে বাংলাদেশের জন্য মডার্নার তৈরি ২৫ লাখ টিকা চলতি সপ্তাহে পাঠানো শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, কোভ্যাক্স মাধ্যমে এবং সরাসরি বিভিন্ন দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ হওয়া তিন কোটি টিকার তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। ২২ জুন হোয়াইট হাউস করোনার টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের পাশাপাশি এশিয়ার ১৮টি দেশকে নতুন করে ১ কোটি ৬০ লাখ টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এছাড়া বিশ্বের ৩০টি দেশ ও জোটকে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যে এক কোটি ৪০ লাখ টিকা দেবে, সেই তালিকায়ও রয়েছে বাংলাদেশের নাম।
Discussion about this post