শিক্ষার আলো ডেস্ক
আমেরকিায় বসবাসরত পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া শহরের সম্ভ্রান্ত খান বাড়ির সন্তান মাইসা খান শিক্ষাক্ষেত্রে এবার মার্কিন শিক্ষা অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমেরিকানদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ছাত্র-ছাত্রীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কৃতিত্ব ও সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন আগে থেকেই। গত ২৫শে জুন স্কুল অডিটরিয়ামে মাইসা খানের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সেখানকার শিক্ষা বিভাগ তাকে এ সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট প্রদান করে।
মাইসা খান ২০১৪ সালেও বারাক ওবামা স্বাক্ষরিত প্রেসিডেন্ট এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন এবং এবার পেলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত প্রেসিডেন্ট এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের রাজধানী বলে খ্যাত নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশি আমেরিকান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার মঈন ইউ খান ও নুসরাত খানের বড় কন্যা মাইসা খান সম্প্রতি নিউফিল্ড হাই স্কুল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড ২০২১ লাভ করেন। মাইসা খান এ বছর একই স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটি ওয়াইজ অনার্স প্রগ্রামে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
শিক্ষার্থী মাইসা খান বলেন, একজন বাংলাদেশি হিসেবে এ অর্জনে গর্ববোধ করছি। দেশের মানুষের দোয়া কামনা করছি। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষায় আরো সফলতা অর্জন করতে চাই।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে যেসব শিক্ষার্থী সব বিষয়ে শতকরা ৯০ ভাগ বা তার বেশি নম্বর পান তারা এই প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন। আমেরিকার শিক্ষা বিভাগ ১৯৮৩ সাল থেকে এ পুরস্কার চালু করেন। ইতিপূর্বে মূলধারার- অর্থাৎ খোদ আমেরিকানরা শিক্ষাক্ষেত্রে এ ধরনের কৃতিত্ব অর্জন করলেও বর্তমানে বাংলাদেশিসহ এশিয়ান বংশোদ্ভূতরা চরম প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুরস্কারসহ বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড ও স্বীকৃতি লাভ করছেন।
Discussion about this post