খেলাধূলা ডেস্ক
৬টি গোল নির্ধারিত সময়ে হলো। কিন্তু কেউ জিতলো না এই ৬ গোলে। দুই দলেরই গোল সমান ৩টি করে। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করেও নিজেদের বাঁচাতে পারলো না প্যারাগুয়ে। কারণ, শেষ পর্যন্ত ভাগ্য নির্ধারণী টাইব্রেকারে হেরে যেতে হয়েছে তাদেরকে পেরুর কাছে। সে সঙ্গে প্যারাগুয়েকে বিদায় করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিলো পেরু।
দুই দেশই পরিণত হয়েছিল ১০ জনের দলে। প্যারাগুয়ে পুরো দ্বিতীয়ার্ধই খেলে ১০ জন নিয়ে। আর পেরু ১০ জনের দলে পরিণত হয় ৮৫ মিনিটে। তাতেও অবশ্য নির্ধারিত সময়ে ফলে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
পেনাল্টি শ্যুট আউটেও ছিল রোমাঞ্চ। সেখানেও প্রথম ৫ শটের পরও স্কোরলাইন ছিল ৩-৩। ষষ্ঠ শটের সাডেন ডেথে পেরু গোল করে, তবে গোল করতে ব্যর্থ হয় প্যারাগুয়ে।
১১ মিনিটে গোল করে প্যারাগুয়েকে এগিয়ে দেন গুস্তাভো গোমেজ। ২১ মিনিটে সেই গোল পরিশোধ করে দেন পেরুর জিয়ানলুকা লাপাদুলা। ৪০ মিনিটে আবারও গোল করেন জিয়ানলুকা। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় পেরু।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে, ম্যাচের ৫৪ মিনিটে আবারও প্যারাগুয়েকে সমতায় ফেরান জুনিয়র আলোনসো। ৮০ মিনিটে গোল করে পেরুকে আরও একবার এগিয়ে দেন ইয়োশিমার ইয়োতুন। কিন্তু, ৯০ মিনিটে গোল করে প্যারাগুয়েকে সমতায় ফিরিয়ে আনেন গ্যাব্রিয়েল আভালোস। এরপরই খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
সেমিফাইনালে পেরুর মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।
Discussion about this post