আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আজ ৪ জুলাই, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস। আর এবারের স্বাধীনতা দিবসে ‘করোনাভাইরাসকে হারানোর’ উৎসব উদযাপন করবেন দেশটির ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন হাজারখানেক আমন্ত্রিত অতিথি। অতিথিদের মধ্যে জরুরি ও অপরিহার্য সেবায় সংশ্লিষ্ট কর্মী, সেনাসদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও থাকবেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাউথ লনে এ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ন্যাশনাল মলে করা হবে আতশবাজির প্রদর্শনী।
একই সঙ্গে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধার ও করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঐতিহাসিক ‘আমেরিকান রেসকিউ প্ল্যান’ কংগ্রেসের অনুমোদনক্রমে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন বাইডেন। যদিও এসব পদক্ষেপ এখনও পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।
করোনা থেকে দেশকে মুক্ত করতে বাইডেনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে করোনার অন্তত এক ডোজ টিকাদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত না হলেও প্রায় কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি।
আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক অ্যালান লিচটম্যানের মতে, ১৯৩৩ সালে ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের পর বাইডেনই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি প্রথম দফা দায়িত্ব নেয়ার সময়ই এত ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। তাকে একই সঙ্গে করোনা মহামারি ও অর্থনৈতিক সঙ্কট উভয়কেই মোকাবিলা করতে হবে।
Discussion about this post