শিক্ষার আলো ডেস্ক
গ্রামের পরিবেশকেও শহরের মতো প্রযুক্তির আলোয় আলোকিত ও বিকশিত করতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে জাপানকে বাংলাদেশের পাশে চেয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গবেষণার সুবিধার্থে হাই-এন্ড সিমুলেশনের জন্য আইসিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর দেশে একটি হাই-এন্ড কম্পিউটিং সেন্টার স্থাপনে জাপানের সহায়তা চেয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জাপানের সঙ্গে একত্রে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন পলক।
রবিবার রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি’র সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই প্রস্তাব করেন প্রতিমন্ত্রী। দুপুরে সশরীরে প্রথম বারের মতো আইসিটি টাওয়ারে গিয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এই বৈঠকে মিলিত হন ইতো নাওকি।
বৈঠকে দীর্ঘ উপস্থাপনায় ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য ও অর্জনের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠেকে রূপকল্প ২০৪১ পূরণে জাপানের সোসাইটি ৫.০ এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মাস্টারপ্লান, ডিজিটাল নিরাপত্তা সংস্থার সাথে সাইবার নিরাপত্তায় সমঝোতা চুক্তি, জেট্রো এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মধ্যে সহযোগিতা, কুমন ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন মডেলে ৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ৩০০ স্কুল অফ দ্য ফিউচার, ৬৪ শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর সেন্টার এবং এটুআই এর মাধ্যমে এইচডি-মিডিয়া এবং ই-গভর্নেন্স ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আরো বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন পলক।
প্রস্তাবনায় ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বাংলাদেশে স্মার্ট সিটি স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। তার বক্তব্যকে এগিয়ে নিয়ে কেবল সিটি নয় গ্রামকেও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব দেন বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
বক্তব্যে ইতো নাওকি বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে জাপানের কোম্পানিগুলো জাইকার মাধ্যমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। আলোচনার মাধ্যমে সবগুলো প্রস্তাবনাই বাস্তবায়নে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি ।
বাংলাদেশের জাইকা প্রতিনিধি ইয়ুহো হাইয়াকা ছাড়াও আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক আব্দুর রাকিব, হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post