নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ‘ট্রান্সলেট স্টোরি ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ’ শীর্ষক’ কার্যক্রমের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুবাদমূলক কার্যক্রম যা শিশুদের জন্য তাদের মাতৃভাষায় মানসম্পন্ন পাঠ উপকরণ তৈরিতে ‘ট্রান্সলেট স্টোরি ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ’ কাজ করেছে। ইউনেস্কো, নরওয়েজিয়ান এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এবং বাংলাদেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩০০ বইয়ের বেশি বাংলা অনুবাদ এবং পাঁচটি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ভাষায় ১০০ বইয়ের অনুবাদ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
এই পুরো আয়োজনের কারিগরি সহযোগিতায় ছিল এটুআই, আইসিটি বিভাগ। অনুবাদ করা সকল বই বিভিন্ন উন্মুক্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন। এই পুরো আয়োজনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে— মহামারিতে শিশুদের গৃহশিক্ষাকে আনন্দদায়ক করে তোলা।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলমান কোভিড পরিস্থিতিতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি পদক্ষেপ। বৈশ্বিক এই দুর্যোগে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়নি। তবে অনলাইনে তাদের শ্রেণি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ‘ট্রান্সলেট স্টোরি ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ’ এর মাধ্যমে ইউনেস্কো এবং বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান যে উদ্যোগ নিয়েছে তা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এই কার্যক্রম অত্যন্ত সময়োপযোগী। করোনা মহামারি শিক্ষার্থীদের ওপর যে মানসিক প্রভাব ফেলেছে। একটা দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীদের যখন বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে, নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করতে হচ্ছে তখন তাদের মানসিক চাপ নিরসনে এবং তাদের এই কঠিন সময়টা আনন্দদায়ক করে তুলতে নিজের ভাষায় অনুদিত এই বইগুলো হয়ে উঠবে এক অনন্য উপজীব্য।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন হেড অব অফিস অ্যান্ড কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ টু বাংলাদেশ বিয়াট্রিস কালদুন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও সংযুক্ত হন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং ইউনেস্কোর শিক্ষা বিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক স্টেফানিয়া জিয়ান্নিনি।
বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মো. সোহেল ইমাম খান অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন।
Discussion about this post