শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ করোনা ভাইরাস সংক্রমিতদের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে ‘অক্সিজেট’ নামে স্বল্পমূল্যের সি-প্যাপ ভেন্টিলেটর ডিভাইস উদ্ভাবনের দাবি জানায় । বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে যে, বুয়েটের উদ্ভাবিত ’অক্সিজেট’ নামে সি-প্যাপ ভেন্টিলেটর ডিভাইস বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি মিলছে না বলে বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে।
তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বলছে, বুয়েট উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’ নামে স্বল্পমূল্যের সি-প্যাপ ভেন্টিলেটর ডিভাইস অনুমোদনের জন্য কোনো আবেদনই করেনি।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রশাসন বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাঈম গোলদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’ নামে মেডিক্যাল ডিভাইসটির পারফরমেন্স ট্রায়াল অনুমোদনের জন্য এখনও ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে কোনো আবেদন দাখিল করা হয়নি।
তবে নব-উদ্ভাবিত কোনো মেডিক্যাল ডিভাইস মানুষের শরীরের জন্য কতটুকু নিরাপদ ও কার্যকর তা পারফরম্যান্স স্টাডির মাধ্যমে যাচাই করে এবং মেডিক্যাল ডিভাইসটির উৎপাদন ও মাননিয়ন্ত্রণ সুযোগ-সুবিধাদি মূল্যায়নের পর রেজিস্ট্রেশন ও বিপণনের করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে আরও বলা হয়, যেহেতু ‘অক্সিজেট’ নামে মেডিক্যাল ডিভাইসটি মানবদেহে চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে এ কারণে মেডিক্যাল ডিভাইসটির ক্লিনিক্যাল পারফরমেন্স ট্রয়াল প্রটোকল অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) ইথিক্যাল ক্লিয়ারেন্সসহ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আবেদন করা প্রয়োজন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশীয় উদ্ভাবনাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দেয় উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ জুন বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. তৌফিক হাসান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে বায়োমেডিক্যাল ‘অক্সিজেট’ নামে মেডিক্যাল ডিভাইসটির বিষয়ে মৌখিকভাবে অবহিত করলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে ডিভাইসটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য দেশের মেডিক্যাল ডিভাইস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেএমআই, এএনসি, গেটওয়েল, ইনসেন্টা মেডিক্যাল ডিভাইসের শীর্ষ পর্যায়ের টেকনিক্যাল কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের পথকে সুগম করে দেওয়া হয়।
Discussion about this post