মুফতি তাজুল ইসলাম
বর্তমান পৃথিবীতে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অনৈক্য ও আত্মকলহ। এর পাশাপাশি অযোগ্য নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে রাসুল (সা.)-এর দোয়া কবুল করা হয়নি। রাসুল (সা.)-এর মুক্ত দাস সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, আমার জন্য পৃথিবীকে গুটিয়ে দেওয়া হলো।
ফলে আমি তার পূর্ব-পশ্চিম সবদিক দেখতে পেলাম। আমাকে হরিদ্রাভ বা লাল এবং সাদা বর্ণের দুটি খনিজ ভাণ্ডার অর্থাৎ সোনা-রুপার ভাণ্ডার দেওয়া হয়েছে। আমাকে বলা হলো, পৃথিবীর যতখানি তোমার জন্য গুটানো হয়েছিল, তোমার রাজত্ব সেই সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। অতঃপর আমি মহান আল্লাহর কাছে তিনটি জিনিস প্রার্থনা করলাম—আমার উম্মত যেন ব্যাপকভাবে দুর্ভিক্ষের শিকার হয়ে ধ্বংস না হয়। তাদের দলে-উপদলে বিচ্ছিন্ন করে তাদের এক দলকে অন্য দলের সশস্ত্র সংঘর্ষের স্বাদ আস্বাদন না করানো। আমাকে বলা হলো, ‘আমি কোনো ফয়সালা করলে তা মোটেও পরিবর্তিত হওয়ার নয়।
তবে আমি তোমার উম্মতকে দুর্ভিক্ষপীড়িত করে তাদের ধ্বংস করব না এবং তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সব বিরোধী শক্তিকে যুগপৎ একত্র করব না, যতক্ষণ না তারা পরস্পরকে ধ্বংস করে এবং একে অন্যকে হত্যা করে।’ আমার উম্মতের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হলে কিয়ামত পর্যন্ত আর অস্ত্রবিরতি হবে না।
আমি আমার উম্মতের ব্যাপারে বেশি ভয় করছি পথভ্রষ্ট নেতৃবৃন্দের। অচিরেই আমার উম্মতের কোনো কোনো গোত্র বা সম্প্রদায় প্রতিমা পূজায় লিপ্ত হবে এবং আমার উম্মতের কিছু গোত্র মুশরিকদের সঙ্গে যোগ দেবে। অচিরেই কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে ৩০ জন মিথ্যাবাদী দাজ্জালের আবির্ভাব হবে। তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নবী দাবি করবে। আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, মহান আল্লাহর চূড়ান্ত নির্দেশ (কিয়ামত) না আসা পর্যন্ত। তাদের বিরুদ্ধবাদীরা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (মুসলিম, হাদিস : ৫১৪৪, তিরমিজি, হাদিস : ২১৭৬, ২২২৯, আবু দাউদ, হাদিস : ৪২৫২)
Discussion about this post