খেলাধূলা ডেস্ক
লিওনেল মেসির হাতের মুঠোয় ক্লাব ফুটবল ও ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে এমন কোনো সাফল্য বাকি নেই যা ধরা দেয়নি । স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে প্রায় সব শিরোপাই জিতেছেন অন্তত দুইবার করে। ব্যক্তিগত সাফল্যের পাল্লাও বিশ্বের অন্য যেকোনো ফুটবলারের চেয়ে ভারী মেসির।
কিন্তু প্রসঙ্গ আসে যখন আন্তর্জাতিক ফুটবল ও জাতীয় দলের হয়ে খেলার ব্যাপারে, তখন প্রাপ্তির খাতায় শুধুই হাহাকার। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি আর্জেন্টিনা। পরের দুই বছর কোপা আমেরিকার ফাইনাল থেকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
এ তিন টুর্নামেন্টেই আর্জেন্টিনার সেরা পারফরমার ছিলেন মেসি, বিশ্বকাপে জিতেছিলেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল। কিন্তু এতে কি আর আন্তর্জাতিক শিরোপার আক্ষেপ মেটে? সেই আক্ষেপ মেটানোর মিশনে আরও একবার কোপার ফাইনালে উঠেছে মেসির আর্জেন্টিনা।
রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি খেলবে ১৪ বারের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা। এ ম্যাচ জিতলে নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতবেন মেসি আর আর্জেন্টিনার ঘুচবে ২৮ বছরের অপেক্ষা।
আর্জেন্টিনা দলের কোচ লিওনেল স্কালোনিও শিরোপা জিততে মরিয়া। তবে শিরোপা না জিতলে মেসির শ্রেষ্ঠত্ব থাকবে না, তা মানতে রাজি নন স্কালোনি। তার মতে, মেসি এরই মধ্যে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। তাই আর নতুন করে কিছু প্রমাণের বাকি নেই।
ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি বলেছেন, ‘মেসি জিতুক বা না জিতুক, ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় সে-ই থাকবে। এটা প্রমাণ করতে তার শিরোপা জিততে হবে না। অবশ্যই আমরা শিরোপা জেতার জন্য মরিয়া। কারণ আমরা ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে সম্ভাব্য সব করে যাচ্ছি। কেউ চেষ্টার কমতি রাখছে না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, দিন শেষে সব যেন ঠিক থাকে। মেসির বিষয়ে এখানে পরের ভাবনা। সে ফাইনাল জিতুক বা না জিতুক, এরই মধ্যে নিজেকে ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করেছে। এমনকি তার প্রতিপক্ষও এটা স্বীকার করে।’
Discussion about this post