অনলাইন ডেস্ক
আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। প্রতি বছর ১১ জুলাই বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালন করা হয়। এবারের জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার ও পছন্দই মূল কথা : প্রজননস্বাস্থ্য ও অধিকার প্রাধান্য পেলে কাঙ্ক্ষিত জন্মহারে সমাধান মেলে’।
প্রতি বছরই নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও দিবসটি পালন করে। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে তেমন কোনো কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। অনলাইনেই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী চলতি বছরের ১ জানুযারি পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১ হাজার। দেশের মানুষের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৮ বছর।
‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ক্লক’-এর তথ্যানুযায়ী, এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রথম প্রহর পর্যন্ত বিশ্বে মোট জনসংখ্যা ৭৭৭ কোটি ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা চীনে। এরপর ভারতে এবং তারপর যুক্তরাষ্ট্রে। চীনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৩৯ কোটি ৭৮ লাখ ৯৭ হাজার ৭২০, ভারতের ১৩৩ কোটি ৯৩ লাখ ৩০ হাজার ৫১৪ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭২৩। এ তিনটি দেশের পরই রয়েছে যথাক্রমে- ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, রাশিয়া ও মেক্সিকো।
জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ১৯৮৭ সালের ১১ই জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। সারাবিশ্বে জনমানুষের মধ্যে এ নিয়ে যে আগ্রহের সৃষ্টি হয়, তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালনা পরিষদ দিবসটি পালন শুরু করে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের লক্ষ্য হলো, পরিবার পরিকল্পনা, লিঙ্গ সমতা, দারিদ্র্য, মাতৃস্বাস্থ্য এবং মানবাধিকারের মতো জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো।
জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ২০৩০ সালে ৮৫০ কোটি, ২০৫০ সালে ৯৭০ কোটি এবং এবং ২১০০ সালে গিয়ে ১ হাজার ৯০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে। ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যার যে বৃদ্ধি হবে, তার অর্ধেকের বেশি হবে নয়টি দেশে। দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, ইথিওপিয়া, তানজানিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিশর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৭ সাল নাগাদ চীনকে ছাড়িয়ে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে অনুমান করেছে জাতিসংঘ।
Discussion about this post