খেলাধূলা ডেস্ক
টোটাল ফুটবলের জনক ইয়োহান ক্রুইফ না ফেরার দেশে চলে গেছেন ২০১৬ সালে। এই কিংবদন্তি ডাচ ফুটবলার একবার বলেছিলেন, ‘ব্যালন ডি’অর ইতিহাসে মেসি সবচেয়ে বেশি এই পুরস্কার জিতবেন। পাঁচ, ছয়, সাতবারও জিততে পারেন।’
ক্রুইফের কথা প্রায় সত্যি হয়েছে। ইতিমধ্যে রেকর্ড ছয়টি ব্যালন ডি’অর নিজের ঝুলিতে পুরেছেন মেসি। টপকে গেছেন নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচটি ব্যালন ডি’অরের মালিক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। এবার যেন ব্যবধানটা আরেকটু বাড়িয়ে নেওয়ার পালা মেসির।
আর্জেন্টিনাকে ২৮ বছর পর প্রধান কোনো টুর্নামেন্টে শিরোপা এনে দিয়ে সপ্তম ব্যালন ডি’অরের স্বপ্নও জাগিয়ে তুললেন মেসি।
চলতি বছর বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার হয়ে ৩৮ ম্যাচ খেলে ৩৩ গোল করেছেন ৩৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। সঙ্গে ১৪ অ্যাসিস্ট। তার মধ্যে ২৬ বার হয়েছেন ম্যাচে সেরা। গত মৌসুমের লা লিগায় সবচেয়ে বেশি গোল ও অ্যাসিস্টও যে তার। কাতালান জায়ান্টদের হয়ে জিতেছেন কোপা দেল রে।
আর আর্জেন্টিনার হয়ে জিতলেন কোপা আমেরিকা। আসরের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। ৪ গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ৫ গোলে। টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার ১২ গোলের মধ্যে ৯ গোলে অবদান তার। গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনাল পর্যন্ত ৬ ম্যাচের প্রত্যেকটি পুরো ম্যাচে দেখা গেছে তাকে। মাঠে ছিলেন ৬৩০ মিনিট।
সপ্তম ব্যালন ডি’অরটাও হয়তো এবার হাতে তুলতে পারেন মেসি। করোনার কারণে গত বছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়নি। এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ের পথে তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও নেইমাররা তো থাকবেনই। তবে মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন চেলসিতে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো ফরাসি মিডফিল্ডার এনগোলা কান্তে।
এখন পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপ ও ছয়টি কোপা আমেরিকা মিলিয়ে মোট ১০টি প্রধান টুর্নামেন্টে খেলেছেন মেসি। তার মধ্যে বিশ্বকাপে (২০১৪ বিশ্বকাপ) একবার ও ২০১৫ ও ২০২১ কোপার আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন মেসি।
২০২১ সালের ১১ জুলাই প্রথমবারের কোপা জিতলেন মেসি। ২০১৬ সালে ১০ জুলাই প্রথমবার ইউরো জিতেছিলেন রোনালদো।
Discussion about this post