অনলাইন ডেস্ক
টানা পাঁচ দিন ধরে করোনা আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যু ২শ’র ঘর পার হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমে এসেছে ১৮৭ জনে। গতকাল (১৫ জুলাই) ২২৬ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদফতর।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর পাশাপাশি কমেছে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ১৪৮ জন শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে অধিদফতর। গতকাল ১২ হাজার ২৩৬ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৪৬৫ জন মারা গেলেন বলেও জানায় অধিদফতর। একইসঙ্গে মোট ১২ হাজার ১৪৮ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হলেন ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৯২২ জন।
গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৫৩৬ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে নয় লাখ ১৪ হাজার ৩৪৩ জন সুস্থ হলেন। শনাক্ত-মৃত্যুর পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হারও কমেছে।
অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক শূন্য আট শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৫ হাজার ৪৫টি, আর পরীক্ষা হয়েছে ৪১ হাজার ৯৪৭টি।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৭টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫২ লাখ ৭০ হাজার ৭৪০টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৯ লাখ ১৫ হাজার ৬২৭টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ১৮৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৩ জন আর নারী ৭৪ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেলেন ১২ হাজার ১৬৬ জন আর নারী পাঁচ হাজার ২৯৯ জন।
তাদের মধ্যে বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে অধিদফতর জানিয়েছে, ১৮৭ জনের মধ্যে ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে রয়েছেন একজন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে চার জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৫৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে সাত জন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুই জন।
এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৬৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৬ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৪ জন, খুলনা বিভাগের ৩৯ জন, বরিশাল বিভাগের আট জন, সিলেট বিভাগের নয় জন, রংপুর বিভাগের ছয় জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের সাত জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ১৮৭ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৪৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৮ জন আর বাড়িতে ১২ জন।
Discussion about this post