দ্রুত দুই উইটেট পড়ে যাওয়ায় রান তোলায় মনোযোগী হয়েছিলেন মেহেদী ও সাকিব। চেষ্টাও করেছিলেন দুজন। পাওয়ার প্লেতে পর্যাপ্ত রান তুলে দিলেও সাকিব সপ্তম ওভারে বিপদ ডেকে আনেন বেশি বাইরে এসে খেলতে গিয়ে। বামহাতি স্পিনার মাসাকাদজার বলে ক্যাচ তুলে দেন কভারে। সাকিব বিদায় নেন ১০ বলে ১২ রানে।
এর পর শট খেলার লোভ সামলাতে না পেরে বিপদটা আরও বাড়িয়ে দিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। মাসাকাদজার বলে ক্যাচ উঠিয়ে দিয়েছেন লং অনে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৪ রান।
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটারের বিদায়ের পর জয়ের পথটা আরও কঠিন করে দিয়ে যান মেহেদী। সেই মাসাকাদজার স্পিনে শট খেলার তাড়নায় তিনি ক্যাচ উঠিয়ে দিয়েছেন লং অফে। মূলত ঝটপট এই তিন উইকেট পতনই পুরোপুরি সর্বনাশ ডেকে আনে পরে।
টি-টোয়েন্টিতে যে সোহানকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারলেন না দলের বিপদের সময়। ডিপ পয়েন্টে তিনিও ক্যাচ তুলে ফিরেছেন মাত্র ৯ রানে।
এর পর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। সাইফউদ্দিন-আফিফ জুটিতে ক্ষীণ সম্ভাবনা যাও একটা ছিল কিন্তু পাহাড় সমান চাপে সেটি শেষ হয়েছে আফিফের ২৪ রানের বিদায়ে। এর পর সাইফউদ্দিনও ১৯ রানে ও তাসকিন ৫ রানে ফিরলে ১৯.৫ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৪৩ রানে। ৪ ওভারে ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মাসাকাদজা। ৩.৫ ওভারে ৩১ রানে ৩টি নিয়েছেন লুক জংউইও। ২৪ রানে দুটি নিয়েছেন টেন্ডাই চাতারা, ২১ রানে সমসংখ্যক শিকার ব্লেসিং মুজারাবানিরও।
শুরুতে জিম্বাবুয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান। আগের ম্যাচে দেড়শো ছাড়ানো ইনিংস খেললেও এই ম্যাচে তারা চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পেরেছে মূলত ওয়েসলে মেধেভেরের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে। তার ৫৭ বলে করা ৭৩ রানের ম্যাচসেরা ইনিংসই গড়ে দেয় বড় স্কোরের ভিত। তাতে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়। শেষ দিকে রায়ান বার্ল ১৯ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালালে সমৃদ্ধ হয় তাদের স্কোরবোর্ড।
Discussion about this post