নিজস্ব প্রতিবেদক
আংশিকভাবে নতুন শিক্ষাক্রমে বই ও শিক্ষাদান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৩ সাল থেকে । তবে ২০২২ সালেও স্কুল-কলেজ খোলা না গেলে এ সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানা গেছে। এর আগে, ২০২১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরুর সিদ্ধান্ত ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এ জন্য প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছিল।
কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে শেষ পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি। পরে সেটা ২০২২ সালে পিছিয়ে নেয়া হয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রস্তাবিত নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২২ সালে মাধ্যমিক স্তরের ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শিক্ষাক্রমের কাজ হবে। এরপর ২০২৩ সালে গিয়ে এই দুইটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন শিক্ষাক্রমের বই দেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনসিটিবি সূত্র জানায়, সাধারণত পাঁচ বছর পরপর শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়। সবশেষ ২০১২ সালে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করেছিল সরকার। চলতি বছরে কয়েকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে বই পাবে বলে এর আগে জানিয়েছিল দুই মন্ত্রণালয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়।
পরে বলা হয়, আগামী বছর থেকে তা বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে আগামী বছরের জানুয়ারিতে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি; মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বই পাওয়ার কথা ছিল। আর ২০২৩ সালে অষ্টম শ্রেণি ও ২০২৪ সালে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রমের বই দেয়ার কথা। এরপর উচ্চ মাধ্যমিকের বই দেয়ার কথা জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জাতীয় শিক্ষাক্রমে সর্বশেষ পরিবর্তন আনা হয়েছিল ২০১২ সালে। এর আগে ১৯৯৫ ও ১৯৭৬ সালে আরো দুই বার শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়। আর ২০২১ সাল থেকে পরিবর্তন আনার কথা ছিল জাতীয় শিক্ষাক্রমে। কিন্তু করোনার কারণে বদলে যায় সর্বশেষ কারিকুলাম বাস্তবায়নের শুরুর সময়ও।
এনসিটিবির সদস্য (মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মো. মশিউজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, ২০২১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে শুরুর কথা ছিল।
কিন্তু করোনার সংক্রমের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। আগামী শিক্ষাবর্ষেও এটি কার্যকর করা সম্ভব নয়। তাই ২০২৩ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post