খেলাধূলা ডেস্ক
সৌম্য সরকার প্রথম ম্যাচেই পারফরম করেছিলেন সেরার মতই। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। বল হাতে ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে খেলেছেন দুর্দান্ত ইনিংস। ৪৫ বলে ৫০ রান করে রান আউট হয়েছিলেন।
দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল পুরো বাংলাদেশ দলের জন্যই হতাশার। সেখানে এককভাবে সৌম্য সরকারের কিছুই করার নেই। ওই ম্যাচে তিনি করেছিলেন কেবল ৮ রান।
আজ শেষ ম্যাচে ছিল বাংলাদেশের সামনে বড় একটা চ্যালেঞ্জ। প্রথম দুই ম্যাচে ১-১ সমতায় থাকার কারণে আজকের ম্যাচটি ছিল ফাইনাল। কিন্তু এই ম্যাচেই কি না বাংলাদেশের সামনে ১৯৪ রানের অসম্ভব এক লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
এতবড় রান তাড়া করতে যে দু’জনের বিস্তর অভিজ্ঞতা সেই মুশফিকুর রহীম আর তামিম ইকবাল দলে নেই। অতীতে তাদের ব্যাটে ভর করেই অনেক ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ।
তবে সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে সৌম্যরা দায়িত্ব নিতে জানেন এখন। দলের যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তখনই ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে গেলেন সৌম্য। ৪৯ বলে ৬৮ রানের অনবধ্য এক ইনিংস খেলে বাংলাদেশের জয়কে সহজ করে দিয়েছেন সৌম্য। যার ফিনিশিং টেনেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং তরুণ শামীম হোসেন পাটোয়ারী (১৫ বলে অপরাজিত ৩১ রান)।
ব্যাট হাতে বিধ্বংসী হয়ে ওঠার আগেই বল হাতে নিজেকে কার্যকর প্রমাণ করেন সৌম্য। বল হাতে হাত ঘুরিয়ে তিনি নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়েছিলেন তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই দুর্দান্ত নৈপূণ্য দেখানোর কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠলো সৌম্য সরকারের হাতে। একই সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজে দুই ম্যাচেই সেরা। সুতরাং, স্বাভাবিকভাবেই সিরিজ সেরার পুরস্কারও উঠলো সৌম্য সরকারের হাতে।
Discussion about this post