আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন এমন লোকজন বেশ অনেকদিন ধরেই মাস্ক না পরেই চলাচলের সুযোগ পাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের আবারও মাস্কেই ফিরতে হচ্ছে। করোনার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভ্যাকসিন নেয়া লোকজনকে পুনরায় মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি মন্তব্য করেছিলেন যে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে রয়েছে। ভ্যাকসিন নেননি এমন লোকজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। ফাউসি জানিয়েছেন, যেসব এলাকায় ভ্যাকসিন গ্রহণের হার কম সেখানে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন নেয়া লোকজনের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেও সে সময় উল্লেখ করেন তিনি। ফাউসি বলেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে ভ্যাকসিনের দুই ডোজের অতিরিক্ত ‘বুস্টার’ ডোজ দেয়ার বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের গতি আবারও বেড়ে গেছে। সে কারণে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এক সংবাদ সম্মেলনে পুনরায় মাস্ক পরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানান যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসনের পরিচালক রোচেল ওয়ালেনস্কি।
তিনি জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন খুব ভালো ভাবেই কাজ করছে বলে তারা দেখতে পেয়েছেন। তবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটনাও ঘটছে। তিনি বলেন, যেসব এলাকায় সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেখানে ভ্যাকসিন নেয়া লোকজনকেও মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছে সিডিসি।
যুক্তরাষ্ট্রে গত মে এবং জুন মাসে দৈনিক শনাক্তের হার কমে আসলেও কয়েক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। করোনার অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফ্লোরিডা, টেক্সাস এবং মিসৌরির মতো যেসব অঙ্গরাজ্যে ভ্যাকসিনের হার কম সেখানেই সংক্রমণ বাড়ছে।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৫৩ লাখ ৫৩ হাজার ৯২৩ জনের। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৫১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৯৫ লাখ ৭১ হাজার ৪৩৪ জন।
Discussion about this post