অনলাইন ডেস্ক
করোনার সংক্রমণ রোধে শর্তসাপেক্ষে ১১ আগস্ট থেকে পর্যায়ক্রমে সীমিত সংখ্যক যানবাহন ও রেল চলবে। ১১ তারিখ থেকে যথারীতি অফিস চলবে ও দোকানপাট খোলা হবে।
আগামী ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খোলা হবে। তবে একজন কর্মচারীও ভ্যাকসিন ছাড়া কর্মস্থলে আসতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে সভাটি শুরু হয়।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ভার্চুয়ালি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য কারখানা আমরা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট, যানবাহনও চলবে। সব একত্রে না। আমরা লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অনুরোধ করব, বাই রোটেশনে যাতে চলে।
তিনি বলেন, লঞ্চ, স্টিমার আছে, রেল আছে, সেগুলোও চলবে। সব যে পরিমাণে অতীতে চলছিল, সে পরিমাণ না চলে সীমিত আকারে চলবে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো নির্ধারণ করে জনগণকে অবহিত করবে। যেমন রেল হয়তো ১০টা চলতো, এখন ৫টা চলবে। কোন কোন সময় কোনটা ছাড়বে এবং কীভাবে যাবে, এগুলো নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও ডিপার্টমেন্ট জনগণকে অবহিত করবে, যাতে কোনো গ্যাপ না থাকে।
মন্ত্রী বলেন, ১১ আগস্টের পর ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ ভ্যাকসিন ছাড়া মুভমেন্ট করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। ১১ আগস্টের পর ভ্যাকসিনেটেড ছাড়া রাস্তায় মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, বাস, ট্রেনে চলাচল করতে পারবে না। তাদের অবশ্যই ভ্যাকসিনেটেড হতে হবে।আমরা তো সবার কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিচ্ছি, গ্রামে গ্রামে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিচ্ছি। বলার সুযোগ নেই ভ্যাকসিন পাইনি, ১৪ হাজার কেন্দ্রে দেয়া হচ্ছে।
Discussion about this post