অনলাইন ডেস্ক
আজ বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট ) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আয়োজিত প্রথম শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘শেখ কামাল বেঁচে থাকলে দেশের যুব সমাজের জন্য অনেক কিছু করতে পারতো। খেলাধুলার প্রতি তার ছিল অত্যন্ত আগ্রহ। ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ ছিল তার। বিশেষ করে ফুটবল-ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলায় আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে চেয়েছিল সে। রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়েও অত্যন্ত সাদামাটা জীবন-যাপন করতো কামাল। অর্থ, সম্পদ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে তার কোনো নজরই ছিল না। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিই ছিল তার সবকিছু।’
যারা প্রথমবার শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার পেয়েছেন তাদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সেটাই আমি চাই। কারণ, যে কোনো জাতির জন্য শিক্ষা, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিচর্চা অপরিহার্য। আমি মনে করি, এ পুরস্কারের মধ্যে কামালকে যেমন সম্মান জানানো হয়েছে তার পাশাপাশি খেলায়ও মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়বে এবং উৎসাহিত হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। তিনি অলিম্পিক গেমস দেখতে টোকিও থাকায় সেখান থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়েছিলেন অনুষ্ঠানে।
যারা প্রথম শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার পেয়েছেন
আজীবন সম্মাননা : কাজী মো. সালাউদ্দিন।
ক্রীড়াবিদ : মাহফুজা খাতুন শিলা (সাঁতার), রোমান সানা (আরচারি) ও মাবিয়া আক্তার সীমান্ত (ভারত্তোলন)।
ক্রীড়া সংগঠক : মনজুর কাদের (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব) ও ক্য শৈ ল হ্ন (কারাতে ফেডারেশন)।
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ : আকবর আলী (ক্রিকেট), ফাহাদ রহমান (দাবা), উন্নতি খাতুন (ফুটবল)।
ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশন/সংস্থা : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
ক্রীড়া সাংবাদিক : মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।
পৃষ্ঠপোষক : ওয়ালটন।
Discussion about this post