নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ শনিবার (০৭ আগস্ট) বিকেলে শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) এর ‘কলম’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, জিপিএ বেশি পাওয়ার প্রবণতা থেকে সবাইকে বের করে আনা হবে এবং সে জন্য নতুন ধরনের কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের জিপিএ দ্বারা তাদের প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন করা যাবে না। এ কারণে জিপিএ-৫ পাওয়ার এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা কী শিখলো সেটি বড় বিষয় হচ্ছে না। কে কত জিপিএ পেয়েছে সেটি নিয়ে সবার উৎসাহ তৈরি হয়েছে। এই অসম প্রতিযোগিতা থেকে আমাদের শিক্ষার্থীদের বের করে আনা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিবেশ তৈরি করা হবে। তার মাধ্যমে যার মধ্যে যে ধরনের প্রতিভা রয়েছে সেটি বিকশিত করা হবে। এ জন্য উপযুক্ত কারিক্যুলাম তৈরি করা হচ্ছে।
সন্তানদের পরীক্ষায় পাসে জিপিএ বেশি পাওয়ার চাপ দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যার যে ধরনের প্রতিভা রয়েছে সেটি বিকশিত করতে এক ধরনের পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া হবে। জিপিএ বেশি পাওয়ার প্রবণতা থেকে সবাইকে বের করে আনা হবে। সে জন্য নতুন ধরনের পাঠ্যপুস্তক তৈরি করা হচ্ছে।
দীপু মনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা শিখছে। কিন্তু সে নিজে বলতে পারছে না। তার কারণ আমাদের কিছু ঘাটতি রয়েছে। সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা হচ্ছে।
কোনো শিক্ষক প্রশিক্ষণবিহীন অবস্থায় পাঠদানের জন্য ক্লাসে যাবেন না, সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে ক্লাস শিক্ষকরা নিয়োগের তিন থেকে চার বছর পর বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের সুযোগ পেত। বর্তমানে সেটি পরিবর্তন করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষায় কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছিলাম। করোনা আমাদেরকে বাধাগ্রস্ত করেছে। আমাদের মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক ঘাটতি ছিল। আমরা ইতোমধ্যে সেটি পূরণ করার চেষ্টা করেছি।
কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষাক্রম পরিবর্তনে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে এবং মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে আমাদের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
সাবেক তত্ত্বাবধারক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, করোনায় শিক্ষা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি পোষাতে প্রণোদনা প্রয়োজন আছে। কারণ শিক্ষার সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। আমাদের ইন্টারনেটের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে শিক্ষকদের অগ্রাধিকার দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নগরায়নের শিক্ষকরা সুবিধা বেশি পাচ্ছেন।
Discussion about this post