নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা মহামারীতে গত বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য আগে আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
করোনা টিকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৬১ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৯১৪ জন, দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬ হাজার ৭২ জন।
শনিবার (৭ আগস্ট) এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ইরাব) এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের অধিকাংশই ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি জানান, সরকারি পর্যায়ের ‘শতভাগ শিক্ষকই’ টিকা নিয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ ৬৩ হাজার ২২২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ৭৮ হাজার ৪২৬ জন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ হাজারের বেশি শিক্ষক টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাদের মধ্যে টিকা নিয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি। ৪-৫ দিনের মধ্যেই সব শিক্ষক টিকা নিয়ে নিবেন আশা করি।
করোনার মধ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রাখার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নানা কারণে অনলাইন ও টিভি ক্লাসের বাইরে থেকে যাচ্ছিল অনেক বেশি শিক্ষার্থী। এখন অ্যাসাইনমেন্ট চালু করেছি, এটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্টের আওতায় এসেছে।
“ব্যাপক হারে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার যে আশঙ্কাটি এসেছিল, অ্যাসাইনমেন্ট নিতে গিয়ে আমরা সেটি দেখছি না। সরাসরি ক্লাস শুরু হলে হয়তো বোঝা যাবে। একটা মহামারী যেহেতু চলছে, সব জায়গাতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে যতটুকু করার আমরা করব।”
ইরাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম সুমনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম, ইরাবের সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
Discussion about this post