নিজস্ব প্রতিবেদক
এই বছরের নভেম্বর থেকে শতভাগ ই-ফাইলিং চালু হবে প্রাথমিকের সব দফতরগুলোতে । আদালত ও এজি (অডিটর জেনারেল) অফিসের আর্থিক নথি ও কিছু জরুরি ফাইল ছাড়া বাকি সব কাজ হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। থাকবে না কাগজপত্র।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘ই-ফাইলিং মাঠপর্যায়ে ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস এখন এর আওতায়। প্রশিক্ষণ বাকি রয়েছে ৬৭টি পিটিআই (প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) এবং ৫০৯টি ইউআরসিতে (উপজেলা রিসোর্স সেন্টার)।
এসব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। শেষ হবে অক্টোবরে। কিছু জরুরি ফাইল ছাড়া প্রাথমিকের সব অফিসে শতভাগ ই-ফাইলিং চলবে। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার ৭০০ অফিসে ই-ফাইলিং শুরু হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে শুরু করে প্রাথমিকের সব দফতর, সংস্থা এবং মাঠপর্যায়ের সব অফিসে ই-ফাইলিং চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে অনলাইনে প্রশিক্ষণ শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছিল, ২০২২ সাল থেকে সকল ক্ষেত্রে ই-ফাইলিং চলবে। করোনার কারণে চলতি বছর থেকেই শতভাগ ই-ফাইলিংয়ে যাচ্ছে প্রাথমিকের সব দফতর।
মহাপরিচালক বলেন, ‘অ্যানালগ পদ্ধতিতে অফিসিয়াল কার্যক্রম চালালে বেশি সময় লাগে। হাতে হাতে না পৌঁছালে সচিবালয়ে একটি ফাইল যেতে সময় লাগে তিনদিনেরও বেশি।আর ই-ফাইলতো চলে যাবে মুহূর্তেই।’
এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভাগের সব দফতরে ই-ফাইলিং জোরদারের নির্দেশ দেন ঢাকা বিভগীয় উপরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়া। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সেবা পাওয়া সহজ করতে বিদ্যালয়ের নিজস্ব ইমেইল আইডিও খোলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। চালু হলে ইমেইলেই চলে যাবে যাবতীয় সরকারি আদেশ, প্রজ্ঞাপন, ও বিভাগীয় নির্দেশনা।
উপরিচালক আরও বলেন, ‘শিক্ষকদের ছুটি নিতে শিক্ষা অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ই-মেইলে ছুটির আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষকদের হয়রানি দূর করা এবং সেবা পাওয়া সহজ করতেই এ ব্যবস্থা। বিভাগীয় অফিস ছাড়াও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে ই-ফাইলিং চালু হয়েছে।’
Discussion about this post