মো. সাইদুল ইসলাম চৌধুরী
নানা আয়োজনে সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে পালিত হলো স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। শোক দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পাতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, খতমে কোরান, মিলাদ, দোয়া মাহফিলসহ বিশেষ আলোচনা সভা।
করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভার্চুয়াল বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, উপ—উপাচার্য অধ্যাপক মহিউদ্দিন চৌধুরী, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, উপদেষ্টা, বিভাগীয় প্রধানসহ, শিক্ষক—কর্মকর্তারা।
বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধুর শোকের দিন।। যাঁর তর্জনীর ইশারায় নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র হয়ে ছিনিয়ে এনেছিলো স্বাধীনতার লাল সূর্য। জাতির দুর্ভাগ্য যে, আমরা মহান নেতাকে হারিয়েছি কিছু স্বার্থন্বেষী ও বিপদগামী বিশ্বাসঘাতকদের কারণে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অভিন্ন সত্তা, তিনি ছিলেন জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। শুধু তা নয় বঙ্গবন্ধু মানে মানবিক উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । যতদিন পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান থাকবে ততদিন মানুষের হদয়ে লালিত হবে এ মহান নেতার কীর্তি।
তাঁরা আরও বলেন, যদি মহান এ নেতা বেঁচে থাকতেন তাহলে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশকে আজ ছাড়িয়ে যেতো। ভাগ্য খারাপ আমরা হারিয়েছি জাতির পিতা এবং বিশ্ব হারালো মহান এক নেতাকে। আমাদের উচিৎ মহান এ ব্যক্তিত্বকে কোনো রাজনৈতিক স্বার্থে বিভক্ত না করে শ্রদ্ধাভরে তার দেশপ্রেমকে স্মরণ করা। যদি তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় তাহলে এ আত্মত্যাগ প্রকৃত মর্যাদা পাবে।
এদিকে ১৫ আগস্ট সকালে ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ, আরেফিন নগরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত খতমে কোরান ও মিলাদের পর ৭৫ এর ১৫ আগস্ট নিহত জাতির জনক এবং তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক সাঈদ মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন।
Discussion about this post