অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি ছিলেন স্বাধীনতার রূপকার ও অবিসংবাদিত অকুতোভয় মহান নেতা। তিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতা অর্জনের জন্য। তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তানী সশস্ত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে নিরস্ত্র বাঙালী। তিনিই যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ নির্মাণে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন।
দ্রুততম সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় ও তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তাঁর একক নেতৃত্বে। শুধু তাই নয়, দেশকে উন্নত করার জন্য বহুমুখী পরিকল্পনা, পদক্ষেপ গ্রহণ ও অর্জন করেছিলেন এই স্বাধীনতাকামী বাঙালী বীর নেতা। কিন্তু স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বাঙালী জাতির অবিস্মরণীয় উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। ঘাতকের আঘাতে স্বাধীনতার অর্জনের অল্প সময়ের মধ্যে সোনার বাংলা গড়ার কারিগরকে হারায় বাংলাদেশ।
তাঁকে হত্যার পর দেশে আবারও পাকিস্তানী ভাবধারার রাজনীতি শুরু করে স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের দোসর বিশ্বাসঘাতকেরা। হতভাগ্য জাতি যে নেতার নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করে, তাঁকেই সপরিবারে হত্যা করে মানুষ নামের স্তন্যপায়ী নরপিশাচরা। পৃথিবীজুড়ে এমন ঘটনার নজির কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাঁকে হারিয়ে জাতি কা-ারী হারা ছিল যে শূন্যতা অপূরণীয়। শিক্ষা-সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ব্যবসা-বাণিজ্যে পিছিয়ে পড়েছিল এ হতভাগ্য জাতি।
একটি জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অর্জন হলো স্বাধীনতা। নির্যাতিত, অবহেলিত ও শোষিত জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতি গঠনে স্বাধীনতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু থাকতে পারে না। ছোটবেলা থেকে অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন ছিলেন বঙ্গবন্ধু। যিনি ১৯৪৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। এ বছরই ভাষা আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার জন্য আটক হন তিনি। ভাষা আন্দোলনের ফলে জেলে থাকা অবস্থায় ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন এই নেতা। পরবর্তীতে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হয়ে দলকে আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করেন এবং এই দলের নেতৃত্বেই স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
তিনিই সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার কথা ভেবেছিলেন। যার ফলে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এটাই ছিল বাঙালী জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম এবং যৌক্তিক প্রস্তাবনা। এই প্রস্তাবনার পর তার বিরুদ্ধে মিথ্যা আগরতলা মামলা দেয়া হয়। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন পায় তীব্র ব্যাপকতা। পরিস্থিতি সরকারের আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। তখন আইয়ুব খান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে রাজনীতি হতে বিদায় নেন।
ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করে ১৯৭০ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দেন। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানীরা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ষড়যন্ত্র শুরু করে। পরবর্তীতে ৭ মার্চ এক ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার মন্ত্রে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেন। এরপর মার্চ মাস থেকে শুরু মুক্তি সংগ্রামের লড়াই। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর বাঙালী জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি হন শেখ মুজিবুর রহমান।
বাঙালী জাতির মুক্তির জন্য তাঁকে দীর্ঘদিন জেল খাটতে হয়েছে। জুলুম-নির্যাতন, হামলা-মামলা তো ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। পাকিস্তানী কারাগারে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রও করা হয়েছে। বাঙালী জাতির মুক্তির আন্দোলনে তিনি এককভাবে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। এ এক বিরল আত্মত্যাগের কাহিনী। তাঁর পরিবারের সকলেই স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগের মন্ত্রে উদ্ভাসিত ছিলেন।
বিশ্ব নেতাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্যতম। মানুষকে খুব দ্রুত আপন করার দুর্দান্ত ক্ষমতা ছিল বাঙালীদের এই মহান নেতার। তাঁর ভাষণের ভাষা ও বাক্যশৈলী ছিল কাব্যের মতো। উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতারা হলেন- মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও বন্দরনায়েকে- এদের সবাই পাশ্চাত্যে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বীয় গুণেই এমন এক নেতায় পরিণত হয়েছিলেন- তিনি যা চাইতেন জনগণ সেটাই করত। সমকালীন বিশ্বনেতাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু অর্জন ও ত্যাগ অন্যদের তুলনায় দৃশ্যমান ও অনন্য। তৎকালীন বৈশ্বিক টালমাটাল প্রেক্ষাপটে বাঙালীর স্বাধীনতা আন্দোলনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতার প্রয়োজন ও ভূমিকা ছিল অপরিহার্য। যিনি একইসঙ্গে মানবিক ও আপোসহীন ছিলেন।
তৎকালীন অনেক বাঘা বাঘা নেতৃত্বকে পেছনে ফেলে শেখ মুজিব সবার উর্ধে উঠতে পেরেছেন তার সাহস ও স্বকীয়তায়। তার সামগ্রিক ত্যাগ ও সাহসী নেতৃত্বের ফলেই বাঙালী পেয়েছে হাজার বছরের কাক্সিক্ষত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এজন্য জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জোরালো বক্তব্যই দিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন সবসময়। তিনি শুধু বাঙালীদের নেতা নয় বিশ্ব নেতাদের নেতা তিনি। এজন্যই তাঁকে বলা হয় চড়বঃ ড়ভ ঢ়ড়ষরঃরপং বা ‘রাজনীতির মহাকবি’।
আব্রাহাম লিংকন
আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন আব্রাহাম লিংকন। যাকে ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল এক থিয়েটারের মধ্যে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। প্রেসিডেন্টকে বাঁচাতে সেনা কর্মকর্তা রাথবন এগিয়ে এলে তাকেও বোথ ছুরিকাঘাত করে লাফ দিয়ে মঞ্চে উঠে যান এবং পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এ হত্যাকান্ডের পেছনে কনফেডারেট রাষ্ট্র তৎকালীন অস্বীকৃত উত্তর আমেরিকার সমর্থকদের ভূমিকা ছিল।
মার্টিন লুথার কিং
আধুনিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্ণবাদের বৈষম্য চরম মাত্রায় উঠেছিল কিন্তু এটির বিরুদ্ধে এক মহানায়ক আন্দোলন শুরু করেন। তিনি হলেন মার্টিন লুথার কিং। তার বিখ্যাত ভাষণ ‘আই হ্যাভ এ্যা ড্রিম’ আজও মানুষের কণ্ঠে ভাসে। যিনি কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। সর্বকনিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ নোবেলজয়ী হিসেবে ইতিহাসে তার নাম সামনের সারিতে। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল মোটেলে অবস্থানকালে জেমস আর্ল রে নামের শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী যুবকের গুলিতে নিহত হন তিনি। হত্যাকান্ডের প্রায় দুই মাস পর লন্ডন হিথরো এয়ারপোর্টে জেমস ধরা পড়ে। হত্যার দায়ে তার ৯৯ বছরের কারাদন্ড হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয় ১৯৯৮ সালে।
মহাত্মা গান্ধী
ব্রিটিশবিরোধী ও অহিংস আন্দোলনের অন্যতম নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তার হত্যাকান্ড পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারিতে নয়াদিল্লীর বিরলা ভবনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে সময় তিনি তার পরিবার এবং অনুসারীদের সঙ্গে সন্ধ্যাকালীন পথসভা করছিলেন।
জন এফ কেনেডি
জন এফ কেনেডি একাধারে থিওডর রুজভেল্টের পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রপতি, বিশ শতকে জন্ম নেয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকনিষ্ঠ নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি এবং প্রথম আইরিশ আমেরিকান রাষ্ট্রপতি। তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র রাষ্ট্রপতি যার ঝুলিতে পুলিৎজার পুরস্কার রয়েছে। ১৯৬৩ সালের ২২ নবেম্বর কেনেডি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড
উল্লেখিত এমন আরও কিছু হত্যাকান্ড আছে যেখানে শুধু একজন নেতাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয়। যে জাতির মুক্তির জন্য তিনি তাঁর প্রায় অর্ধেক জীবন জেলে কাটালেন, ত্যাগ করলেন জীবনের আরাম আয়েশ নিজ দেশের অমানুষরাই তাকে হত্যা করল। ১৫ আগস্টের মতো ট্র্যাজেডি পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টা ঘটেনি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতির এমন নির্মম হত্যাকান্ড দেশের জন্য ছিল অপরিসীম ক্ষতি। তাঁর শূন্যতা দেশকে অবিভাবকহীন ও পঙ্গু করে দেয়। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ গড়ার সময় পেয়েছিলেন। তিনি এ স্বল্প সময়ে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর জাতিতে পরিণত করতে পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্ব ও পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশ এগিয়ে যেতে পারলে খুব দ্রুত বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে এক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন হতো। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের মধ্যে থেকে যেভাবে বিনিয়োগ হওয়া শুরু হয়েছিল, তাতে খুব দ্রুতই সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব ছিল। শিক্ষা, বিজ্ঞান, গবেষণার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যেগুলোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তাঁর অবর্তমানে আর সেভাবে বাস্তবায়ন হয়নি।
দেশকে গড়ার জন্য বহু যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের জন্যও বহু দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ১৯৭৪ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ প্রতিষ্ঠা। এটির ফলে দেশ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় তথ্য সংগ্রহ ও সে অনুসারে কার্যক্রম করতে পেরেছিল। বিজ্ঞানে গবেষণা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন ও শিক্ষাকে বিশ্ব মানের করার জন্য তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার মাধ্যমে সদূরপ্রসারী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্য বর্তমানে অনেকটা এগিয়েছে। এছাড়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র থেকে বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছে। দেশ আজ ডিজিটাল হয়েছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু নিজেই। তাঁর প্রমাণ ১৯৭৪ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা।
একটি দেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও সর্বোচ্চ নেতা না থাকলে যা হয়। তার পরিণামে দীর্ঘ কয়েক যুগ দিয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে জাতির পিতার আদর্শ কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে আবারও সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধুর নানা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। ফলে দেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের এক রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। শোককে শক্তিতে পরিণত করে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। দেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে রূপান্তরিত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর অদম্য বাংলাদেশ হিসেবে। জাতীয় শোক দিবসে আমাদের দাবি জাতির পিতার হত্যাকারীদের মতো ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যার ষড়যন্ত্রকারী, নেপথ্য কারিগর ও পরবর্তীতে হত্যাকারীদের রক্ষাকারী মূল ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতকদেরও বিচার করে বাংলা মাটিকে কলঙ্কমুক্ত করা হোক।
লেখক: বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তিবিদ, সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং পরিচালক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)
Discussion about this post