আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগান শরণার্থীদের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার বা ৫০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তান পরিস্থিতির কারণে শরণার্থী, যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির শিকার বা ঝুঁকিতে থাকা অন্য ব্যক্তিদের অভিবাসন এবং সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি শরণার্থী তহবিল ব্যবহারেরও বরাদ্দ দিয়েছেন বাইডেন।
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই তহবিল আন্তর্জাতিক সংস্থা, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর ও এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে ব্যবহার করা হবে। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে বাইডেনের দাবির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তহবিল বরাদ্দের এই খবর জানা গেল।
আফগানিস্তানে তালেবানের হাতে মার্কিন সমর্থক সরকারের পতন হয়েছে। ফলে নিজ দেশেই তোপের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর মধ্যেই আফগান শরণার্থীদের জন্য তহবিল ঘোষণা করলেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে বিশ্বের সব দেশকে আফগানিস্তান থেকে শরণার্থী গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি তাদের নির্বাসিত করা থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এক টুইট বার্তায় এই আহ্বান জানান।
টুইট বার্তায় গুতেরেস বলেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে’ আফগানিস্তানের ঘটনাগুলো সারাবিশ্ব অবলোকন করছে। তিনি বলেন, প্রজন্ম ধরে যুদ্ধ আর কষ্টের কথা আফগানরা জানে। তারা আমাদের পূর্ণ সমর্থন পাওয়ার যোগ্য। এখনই সহমর্মিতার উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে তিনি তার টুইট শেষ করেন।
রোববার তালেবান আফগানিস্তান দখল পর থেকেই লোকজনের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। সামনের দিনগুলোতে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়েই যেন জল্পনা শেষ হচ্ছে না। এর মধ্যেই লোকজন দলে দলে আফগানিস্তান থেকে পালানোর চেষ্টা করছে। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে বারবার লোকজনকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে ও তারা দেশের জনগণের সেবায় কাজ করবে।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসনে ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট সেখানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করলে প্রত্যন্ত এলাকা দখল করে থাকা তালেবান কাবুলের ক্ষমতার মসনদে উঠতে জোর লড়াইয়ে নামে। যদিও এর মধ্যে তালেবানের সঙ্গে কাবুলের শাসকগোষ্ঠীর সংঘাতের অবসানে কাতারসহ বিভিন্ন পক্ষের মধ্যস্থতায় নানা সময়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সব আলোচনাই ভেস্তে গেছে।
Discussion about this post