বিনোদন ডেস্ক
গেল শতকের সত্তর-আশি দশকের তুমুল জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতের দল ‘অ্যাবা’ আবারো ফিরে আসছে। এই খবরে যার পর নাই খুশি দলটির ভক্তরা, সেই সঙ্গে বিস্মিত। কারণ, তাদের এই ফেরা প্রায় ৪০ বছর পর। একটি অ্যালবামের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনসার্টেও অংশ নেবে অ্যাবা।
সম্প্রতি এক ঘোষণায় সর্বকালের অন্যতম সফল ব্যান্ড ‘অ্যাবা’ জানিয়েছে তাদের নতুন অ্যালবাম ‘ভয়েজ’ গোটা বিশ্বে মুক্তি পাবে পাঁচ নভেম্বর। তার আগে দলটির অন্যতম জনপ্রিয় দুইটি হিট গান ‘মামামিয়া’ ও ‘ওয়াটারলু’ পরিবেশিত হবে একটি ভার্চুয়াল কনসার্ট।
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ১৯৮২ সালে অ্যাবার সদস্যরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। এরপর তাদের আর একসঙ্গে দেখা যায়নি।
অবশেষে সেই সেই চার পরিচিত মুখ অ্যানি ফ্রিদ লিংস্তা, বিয়োর্ন উলভিউস, বেনি অ্যান্ডারসন ও আগনেথা ফেলৎসকোগ আবারো এক সঙ্গে ফিরছেন এবং একটি কনসার্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বেনি অ্যান্ডারসন জানান, শুরুতে তারা দুইটি গান করার কথা ভেবেছিলেন। পরে ভাবলেন, দুইটি হতে পারলে দশটি হতে দশ কোথায়।
শেষ পর্যন্ত দশটি গানই রেকর্ড করে ফেললেন অ্যাবার সদস্যরা। এরমধ্যে দুই গান গেলো বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনের সময় ভক্তদের শুনিয়ে দেয়া হয়।
অ্যাবার ফিরে আসা কোটি কোটি ভক্তদের জন্য কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিলো। কারণ, ২০০০ সালে এই দলটি একশ’ কোটি ডলারের একটি ট্যুরের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলো।
ভক্তদের কথা চিন্তা করেই আবারো ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় অ্যাবা। আগামী বছর পূর্ব লন্ডনে বিশেষভাবে নির্মিত একটি এরেনায় তাদের কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। ‘ভয়েজ’ শিরোনামে ভার্চুয়াল কনসার্টের সময় ব্যান্ডের নতুন গানগুলো বাজানো হবে।
সপ্তাহে ছয় রাত এই কনর্সাটে গান হবে। তবে অ্যাবার সদস্যরা শরীরে নয়, তাদের ডিজিটাল সংস্করণ গান করবে। ব্যান্ডটির ২২টি দুর্দান্ত হিট গানের সঙ্গে ১০টি নতুন গানও থাকবে। চলতি মাস থেকেই শুরু হবে কনসার্টের টিকেটি বিক্রি।
প্রথমে ‘অ্যাবা দলের নাম ছিলো ‘বেনি অ্যান্ড বিয়োর্ন’। তখন দলে ছিলেন শুধু বেনি অ্যান্ডারসন আর বিয়োর্ন উলভিয়াস। পরে যোগ দেন অ্যাগনেথা ও অ্যানি।
এই চার জনের গাওয়া ‘নো ডক্টর ক্যান হেল্প উইথ দ্যাট’ ও ‘ইমাজিন ইফ আর্থ ওয়ার ইয়ং’ গান দুটি সুইডেনে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর তাদের আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
দলটির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় নাম বদলে করা হয় ‘বিয়োর্ন অ্যান্ড বেনি, অ্যাগনেথা অ্যান্ড অ্যানি ফ্রিড’। কিন্তু বিশ্ব ভ্রমণে বর হবার পর এতো বড় নাম নিয়ে বিপত্তি বেধে যায়।
তাদের ভক্তরা বিভিন্ন নামে তাদের ডাকতে শুরু করে। এতে বিরক্ত নিজেদের নামের প্রথম অক্ষর দিয়েই ‘অ্যাবা’ রাখা হয় ব্যান্ডের নাম। এর আগেই তারা প্রথমবার জায়গা করে নেয় আমেরিকার বিলবোর্ড। এরপর শুরু হয় গোটা বিশ্ব চড়ে বেড়ানো। বাংলাদেশও ভ্রমণ করে গেছে দলটি।
প্রায় ১২ বছর দাপটের সঙ্গে পপ সঙ্গীতে জগতে বিচরণের পর ১৯৮২ সালে ভেঙে যায় অ্যাবা। সেই সঙ্গে ভেঙ্গে যায় দুই দম্পতির সম্পর্ক। বলা হয়ে থাকে খ্যাতির ভারেই ভেঙ্গে যায় দলটি।
তবে এক দশকের পথচলায় অ্যাবার বিলিয়ন ডলারের উপরে ব্যবসায়িক সফলতা বিশ্বের আর কোনো পপ সঙ্গীত দলের নেই।
Discussion about this post