আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কুয়েত সরকার ফেলে দেওয়া প্রায় চার কোটি ২০ লাখেরও বেশি টায়ারকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলছে । পুরনো টায়ারগুলো ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে কার্পেট, ব্যাগসহ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন পরিবেশবিদরা।
কুয়েত বিশ্বের অন্যতম পুরনো টায়ার ফেলার ভাগাড় হিসেবে পরিচিত। সেখানে প্রতিদিনই পোড়ানো হয় পুরনো টায়ার। তাতে নির্গত হয় রাসায়নিক পদার্থ ও কালো ধোঁয়া। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে কুয়েতবাসী।
পরিবেশ দূষণ থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে সম্প্রতি প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখেরও বেশি টায়ারকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলছে দেশটি। গ্লোবাল রিসাইকেল কোম্পানি এপসকো ফেলা দেওয়া টায়ারগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার একটি প্রকল্প হাতে নেয়।
কুয়েত সরকার এবং বেরকারি সংস্থার সহযোগিতায় পুরনো টায়ার প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করছে কার্পেট, ব্যাগসহ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
আল খায়ের গ্রুপের সিইও হামুদ আল-মারি বলেন, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত আমরা ২৫ লাখ টায়ারকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করেছি। পুরনো টায়ার থেকে রাসায়নিক তুলে ডিজেল ও জ্বালানি উৎপাদনও করছি আমরা।
সমাজের কল্যাণের জন্য টায়ারগুলোকে না পুড়িয়ে সেগুলোকে ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরি করা হচ্ছে। সেগুলো রপ্তানি করা সম্ভব।
কুয়েতের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০১৯ সালে ৪৫ লাখ মানুষের জন্য ২৪ লাখ যানবাহন ছিল।
গ্লোবাল রিসাইকেল কোম্পানিটি বছরে ৩০ লাখেরও বেশি ফেলে দেওয়া টায়ারকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করতে সক্ষম।
Discussion about this post