খেলাধূলা ডেস্ক
চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে বল হাতে যেন একাই প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে দিলেন নাসুম আহমেদ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিজের সেরা ফিগারের রেকর্ড গড়ার সাথে এক টি-টোয়েন্টি ইনিংসে সর্বোচ্চ মেডেন দেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন।
টসে হেরে বোলিংয়ে নেমে প্রথম ওভার করতে মাহমুদউল্লাহ বেছে নিলেন নাসুম আহমেদকে। অধিনায়ককে হতাশ করেননি বাঁহাতি এই স্পিনার। শুরুতেই এনে দিয়েছেন উইকেট। প্রথম বলটি তীক্ষ্ণ বাঁক নিয়ে ব্যাটসম্যান রাচিন রবীন্দ্রকে দ্বিধায় ফেলে দেয়।
পরের তিনটি বল তিনি খেলেন ডট। পঞ্চম বলটি সুইপ করে চাপ সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। ঠিক মতো পারেননি।শর্ট ফাইন লেগ থেকে কিছুটা দৌড়ে দিয়ে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ মুঠোয় নেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। উইকেট মেডেন ওভারে শুরু করেন বোলিং।
সাকিব আল হাসানকে রিভার্স সুইপে ছক্কায় ঝড়ো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন ফিন অ্যালেন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বিস্ফোরক এই ওপেনার। আরেক বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের রিভার্স সুইপ করে দিলেন সহজ ক্যাচ।
একটু টেনে দিয়েছিলেন নাসুম। একটু বাড়তি বাউন্সও পেয়েছিলেন। তাতে টাইমিং করতে পারেননি অ্যালেন। পয়েন্টে ক্যাচ মুঠোয় নেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ৮ বলে ১ চারে ১২ রান করেন অ্যালেন।
এরপর নাসুম আঘাত হানেন নিজের শেষ ওভারে। হেনরি নিকোলস হয়তো কল্পনাও করেননি বলটা এতটা বাঁক নেবে। নাসুমের ঝুলিয়ে দেওয়া বলটি উইথ দ্য স্পিন খেলতে গিয়েও ব্যাটে পাননি! বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে আঘাত হাতে লেগ স্টাম্পে।
পরের বলেই গ্র্যান্ডহোমকেও সোহানের তালুবন্দি করে ফেরত পাঠান নাসুম। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও সেটি হয়নি, তবে আদায় করে নেন মেডেন ওভার। সবমিলিয়ে ৪ ওভার বোলিংয়ে মাত্র ১০ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন নাসুম। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড, আর বাংলাদেশের হয়ে পঞ্চম সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড।
এছাড়াও নাজমুল ইসলাম অপুর পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ২ মেডেন ওভার দেওয়ার রেকর্ডও গড়েন নাসুম। ২০১৮ সালে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে দেহরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ মেডেন দিয়েছিলেন অপু।
শুধু বাংলাদেশীই নয়, বিশ্বের মধ্যেই কোন বোলার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে ২ ওভারের বেশি মেডেন দিতে পারেননি। সেই ক্লাবেও নাম লেখান নাসুম আহমেদ।
তবে টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে ১২ তম বোলার হিসেবে এই রেকর্ড গড়েছেন নাসুম আহমেদ। তাছাড়া বিশ্বের সব ক্রিকেট খেলুড়ে দল হিসেবে করলে তা হবে ৩২ তম।
Discussion about this post