শিক্ষার আলো ডেস্ক
প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সাথে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোও খুলেছে। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসাগুলোতেও ক্লাস শুরু হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিষ্ঠানগুলো আবাসিক হওয়ার কারণে অনেকটাই ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টারের’ মতো পরিচালিত হবে। শিক্ষার্থীদের বাইরে যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত থাকায় মাদ্রাসার ভেতরে আলাদা করে মাস্ক বা অন্য কোনও বিধিনিষেধ মানার প্রয়োজনীয়তা শিথিল হচ্ছে।
এ বিষয়ে বেফাকের সহ-সভাপতি ও সিলেটের গহরপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুসলেহউদ্দিন রাজু বলেন, ‘সারাদেশের সব মাদ্রাসা খুলেছে। সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস শুরু হয়েছে। ক্লাস শুরু হওয়ায় সবাই উৎফুল্ল।’
মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কওমি মাদ্রাসাগুলো আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে ছাত্র-শিক্ষক উভয়ে অবস্থান করেন। শিক্ষকদের কেউ কেউ বাইরে থেকে এলেও এখন তারা মাদ্রাসায় অবস্থান করবেন। কেউ বাইরে থেকে এলেও যদি তারা অসুস্থ হন তাহলে আসবেন না।
বেফাকের সহ-সভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু বলেন, ‘প্রায় এক বছর করোনার কারণে কওমি মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীদের অনেকেই নিজ নিজ এলাকার মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে, যে কারণে অনেক মাদ্রাসায় চাপ কমেছে। আগে তো সিট পাওয়া যেতো না, এখন সিট ফাঁকা আছে।
কোনও শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হলে দ্রুত অভিভাবককে জানিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
প্রায় এক বছর পর ক্লাস শুরু হওয়ায় সিলেবাস কীভাবে শেষ করা হবে- এ প্রসঙ্গে খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম ও হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসা আবাসিক হওয়ায় দিনে-রাতে শিডিউল করে ক্লাস নেওয়া হবে। দ্রুত সিলেবাস শেষ করতে বাড়তি ক্লাস নেওয়া হবে।’
কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদি শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বলেন, আমরা আশা করি করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসাগুলো সুন্দরভাবে তাদের দৈনন্দিন কাজ করবে।
Discussion about this post