শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিশ্ব চিঠি লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে সিলেটের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী নুবায়শা ইসলাম। বিশ্ব ডাক সংস্থার (ইউপিইউ) ৫০তম চিঠি লেখা প্রতিযোগিতায় লক্ষাধিক কিশোর-কিশোরীকে হারিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছে সে।
প্রতিযোগিতায় পত্র লেখার বিষয় ছিল ‘কোভিড-১৯’। নুবায়শা তার অনাগত বোনকে নিয়ে লেখা চিঠিতে করোনাকালে মৃত্যুভয়, স্বজন হারানোর ভয়ের কথা উল্লেখ করে। একই সঙ্গে প্রচণ্ড আশাবাদ ব্যক্ত করে একটি ভালো সময়ের জন্য।
নুবায়শার পরিবার সিলেট নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহ এলাকায় বসবাস করে। তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মগড় ইউপির আমবাড়িয়া গ্রামে।
নুবায়শা বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেটের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং সিলেট গ্রামার স্কুলের শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার দম্পতির মেয়ে। সে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
শফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়ের এই অর্জন আমাদের পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে। তার চিঠির ভাষা ছিল আসাধারণ। যে কেউ চিঠি পড়লে মন শীতল হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, তার অনাগত বোনকে নিয়ে ৮০০ শব্দের আবেগঘন ওই চিঠি লিখেছে। চিঠিতে করোনাকালে মৃত্যুভয়, স্বজন হারানোর ভয়ের কথা উল্লেখ করেছে। সেই সঙ্গে ভালো সময়ের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে।
গত ২৭ আগস্ট সুইজারল্যান্ডে সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রতিযোগিতার ফল ঘোষণা করা হয়। ফল প্রকাশের পর বিশ্ব ডাক সংস্থা নুবায়শাকে নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি তৈরি করে প্রতিষ্ঠানের ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।
সুইজারল্যান্ডে গিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করবে নুবায়শা।
Discussion about this post