শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে এখনো উপেক্ষিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। গত ৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখ মেয়াদ পূর্ণ করে চলে যান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক এ. কিউ. এম মাহবুব হাসান। এরপর এক বছর ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও দেখা মেলেনি নতুন ট্রেজারারের। ফলে আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছুটা অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের।
শুধু ট্রেজারার নয়, উপাচার্য অপসারণ কিংবা নতুন উপাচার্য পেতেও বারবার আন্দোলন করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। প্রথমে আন্দোলনের মুখে সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হকের স্বেচ্ছা ছুটি ও তার কিছুদিন পর রুটিন ভিসির দায়িত্বে থাকা ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব হাসানের মেয়াদ শেষ হলে ২০১৯ সালে ৬ মাসের মতো অভিভাবকশূন্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘ ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও উপাচার্য কিংবা ট্রেজারার না থাকায় আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা ফলে নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘ট্রেজারার শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক দিকগুলো দেখেন। এক্ষেত্রে ট্রেজারার থাকলে অর্থ দপ্তর থেকে কিছু আর্থিক বিষয় সরাসরি ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে যায় আর কিছু বিষয় ট্রেজারার নিজেই সমাধান করতে পারেন। বর্তমানে ট্রেজারার না থাকায় সমস্ত আর্থিক দিকগুলো ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়কে দেখতে হচ্ছে।
Discussion about this post