শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হাতে গোনা কয়েকটি কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। তার মধ্যে কলাভবনের প্রক্টর অফিসের কোণে ছিল একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ। এ গাছ কলাভবনের সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছিল।সম্প্রতি কলাভবনের প্রক্টর অফিস সংলগ্ন গাছটির ৬০ শতাংশ পোকায় খেয়ে ফেলেছে এমন দাবি করে এ গাছটি কাটতে শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তবে প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। অনেকেই গাছটি কাটার প্রক্রিয়া শুরু করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন।
গাছ কাটা ঠিক হয়নি দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর হায়াত খান ফেসবুকে লিখেন, ‘এই উন্নয়নের মানেটা কি কেউ আমাকে বলবেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের প্রক্টর অফিসের পাশে এই কৃষ্ণচুড়া গাছটি কেটে কী করতে চাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ? হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।’
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কলাভবন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গাছটির ডাল-পালা কাটা হয়েছে। আর কাণ্ডটির অর্ধেকও কেটে নিচে ফেলে রাখা হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি করছে, দুর্ঘটনা এড়াতে এ কৃষ্ণচূড়া গাছটি কাটা হয়েছে।
গাছ কাটার দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরি ক্যালচার সেন্টারের পরিচালক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, ‘শিকড় নরম হয়ে গাছটি দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। রাস্তার দিকে ৪৫ ডিগ্রি এঙ্গেলে হেলে গিয়েছিল। গাছটি পড়ে গেলে যে কেউ ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হতে পারত। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেটি কাটা হয়েছে। এখানেই আরেকটি কৃষ্ণচূড়া রোপন করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে আমাদের ১০০টি নতুন গাছ লাগানোরও পরিকল্পনা আছে।’
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এটি ছিল কৃষ্ণচূড়া গাছ। এ গাছের শিকড় নরম হয়। গাছটি জীবনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই গাছটি কাটা হয়েছে।’
এর আগে শিকড় নরম হওয়ার পরেও না কাটার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু গাছ ঝড়ে উপড়ে পড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Discussion about this post