অনলাইন ডেস্ক
এতদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরীর উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা ছিল প্রায় অজানাই। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গবেষণায় জানা গেল, চট্টগ্রাম নগরীতে উদ্ভিদ রয়েছে মোট ৪৯৫ প্রজাতির।
এসব উদ্ভিদের মধ্যে বিপন্ন প্রায় প্রজাতি রয়েছে ১৩টি। গবেষকরা বলছেন, এখন থেকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম নগরী থেকে বিলুপ্ত হবে ১৩৭ প্রজাতির উদ্ভিদ।
চট্টগ্রাম শহরের পাহাড় জুড়ে উদ্ভিদবৈচিত্র্যের হিসেব এতদিন ছিল অজানা। তাই নগরীর উদ্ভিদরাজির পুরো চিত্র তুলে আনতে এ বছরের মার্চ মাস থেকে গবেষণায় নামেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
২০টি পাহাড়ি এলাকায় পরিচালিত গবেষণায় শহরে মোট ৪৯৫ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পান গবেষকরা। যার মধ্যে শীতশাল, শ্বেত চন্দন, অশোকের মত বিপন্নপ্রায় প্রজাতি পাওয়া গেছে ১৩টি।
নগরীর উদ্ভিদগুলোর মধ্যে ৩৫৪টি দেশীয় প্রজাতির আর বিদেশি প্রজাতি রয়েছে ১৪১টি। গবেষকরা বলছেন, সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা না হলে এখান থেকে হারিয়ে যাবে ১৩৭ প্রজাতির উদ্ভিদ।
গবেষণায় দেখা যায়, দুইশ’র বেশি উদ্ভিদ রয়েছে নগরীর সিআরবি, টাইগারপাস, মুরগী ফার্ম, বাটালি হিল ও জয় পাহাড় এলাকায়।উদ্ভিদবৈচিত্র্য বাঁচিয়ে রাখতে দেশীয় প্রজাতির গাছ রোপণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন গবেষকরা।
এছাড়া পাহাড় কাটা, অপরিকল্পিত স্থাপনা-উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে এ উদ্ভিদবৈচিত্র্য হারিয়ে যাবে বলছেন তারা। চট্টগ্রাম নগরীর উদ্ভিদ প্রজাতি রক্ষায় বনবিভাগের পাশাপাশি সিডিএ এবং সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন পরিবেশকর্মীরা।
Discussion about this post