খেলাধূলা ডেস্ক
৮১ বছর বয়সে না ফেরার দেশে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার জিমি গ্রিভস। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই কিংবদন্তির মৃত্যুর খবরটি টুইট করে জানায় তারই একসময়ের ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার।
এদিকে, জিমি গ্রিভসের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ইংলিশ ফুটবলে। দেশটির ফুটবলের সোনালী প্রজন্মের ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
দেশের জার্সিতে ৫৭টি ম্যাচে ৪৪টি গোল করেছেন। পাশাপাশি ক্লাব পর্যায়ে টটেনহ্যাম এবং চেলসিতেও অনেক রেকর্ড নিজের নামে লিখিয়েছেন। এখনো পর্যন্ত ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যামের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। ক্লাবটির হয়ে ৩৭৯টি ম্যাচে গোল করেছেন ২৬৬টি। এর মধ্যে ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে ৩৭টি গোল করেন, যা ক্লাবের অন্য কোনো ফুটবলার এখনও পর্যন্ত ভাঙতে পারেননি। টটেনহ্যামের হয়ে এক মৌসুমে সেটিই যে কোনো ফুটবলারের সর্বোচ্চ গোল।
কিংবদন্তি এই ফুটবলারের মৃত্যুর খবর জানিয়ে টটেনহ্যাম এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জিমি গ্রিভসের মৃত্যুর খবরে আমরা সবাই ভারাক্রান্ত, ব্যথিত। তিনি শুধু টটেনহ্যামের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতাই ছিলেন না, দেশের (ইংল্যান্ডের) অন্যতম সেরা গোলদাতাও ছিলেন। রোববার সকালে ৮১ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়েছে।’
এদিকে, ইংল্যান্ড ফুটবল দলের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট এক শোকবার্তায় বলেন, ‘জিমি গ্রিভস এমন একজন ফুটবলার, যারা এই খেলাকে ভালোবাসে, তারা জিমিকেও ভালোবাসতে বাধ্য হবে। তার জন্য অসীম শ্রদ্ধা।’ ইংলিশ কোচ আরও বলেন, আগামী মাসে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ম্যাচে আমরা এই কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধা জানাব।
জিমির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ইংলিশ ফুটবলের বর্তমান কান্ডারি হ্যারি কেইনও। তিনি এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘সত্যিকারের এক কিংবদন্তিকে হারালাম, সঙ্গে সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলদাতাকেও। সে সবসময় আমাদের পরিবার ও বন্ধুর মতোই ছিল।‘
Discussion about this post