সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে আমার ভর্তি হওয়াটা ঘটেছিল ছোটখাটো একটা গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। আমার পিতা চেয়েছিলেন আমি পড়ি অর্থনীতি, যাতে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়াতে সুবিধা হয়। সেকালে ওটাই হতো প্রথম নির্বাচন, ব্যর্থ হলে অন্যপথ খোঁজা। কিন্তু আমার পক্ষপাত তো সাহিত্যের দিকে। অনড় দু’পক্ষে শেষ পর্যন্ত একটা সমঝোতা হয়েছিল এই মর্মে যে, আমি বাংলা নয়, ইংরেজি সাহিত্য পড়ব, সাবসিডিয়ারি হবে পলিটিক্যাল সায়েন্স এবং ইকোনমিকস, যাতে সিভিল সার্ভিসের জন্য প্রস্তুতিটা চলতে থাকে। সাহিত্যের ব্যাপারে আমার আগ্রহটা ছিল, পরে বুঝেছি, ওই যুক্ত হওয়ার তাড়নাতেই।
তা ভর্তি হয়েই আমি নানাভাবে যুক্ত হয়ে গেলাম। অল্প পরেই সলিমুল্লাহ হলের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে গেছি, দেখতে পেলাম; এবং জিতলামও। পরের তিন বছরও হল সংসদ নির্বাচনে আমি তুমুলভাবেই অংশ নিয়েছি। আবাসিক ছাত্র ছিলাম না, কিন্তু ঘোরাফেরা ছিল ছাত্রাবাসেই। আর নির্বাচন এলে তো আমাকে যুক্ত হতেই হতো। সেকালে প্রার্থীদের পরিচয়পত্র লেখা হতো ইংরেজিতে, আমার ওপর দায়িত্ব বর্তাতো প্রেস থেকে সম্মিলিত পরিচয়পত্র ছাপিয়ে আনার। একবার তো আমার সারারাতই কেটেছে প্রেসে। খুব সকালে ছাপানো বুকলেট প্যাকেটে করে নিয়ে হলে গেছি; তাতে অন্যরা কতটা উৎফুল্ল হয়েছে জানা হয়নি, কিন্তু আমি যে গৌরব অনুভব করেছি তাতে সন্দেহ নেই। নির্বাচনের দিন মাইক্রোফোনে প্রবল প্রচারণা চলত, তাতেও আমার সক্রিয় অংশগ্রহণে কোনো ত্রুটি ছিল না।
প্রতিটি আবাসিক হলেরই একটা সাংস্কৃতিক জীবন ছিল। প্রতিবছর প্রতিযোগিতা হতো আবৃত্তি, বক্তৃতা, গান ইত্যাদির। আমি গান বাদ দিয়ে অন্যগুলোতে অংশ নিতাম। হলবার্ষিকী বেরুতো, তাতে আমি লিখেছি। বার্ষিকী সম্পাদনাতেও একবার যুক্ত হয়েছিলাম।
ওদিকে সবেগে চলছিল ছাত্রসংঘের কাজ। আমরা ছেলেরা ছাত্রসংঘ গড়েছি পাড়ায়, পাঠাগার খুলেছি, ছেপে পত্রিকা বের করেছি কষ্টেশিষ্টে। পাঠাগারে সাহিত্যসভা বসত প্রতি সপ্তাহে। মঞ্চ তৈরি করে তাতে নাটক, বিচিত্রানুষ্ঠান, ছায়ানাটক- এসব করেছি। লিখছিও। আমি দেখতে পাই যে লেখা নিয়ে যাচ্ছি তখনকার প্রধান মাসিক পত্রিকা ‘মাহে নও’ অফিসে। লিখে কিছু আয়ও হচ্ছে। অংশ নিচ্ছি রেডিও প্রোগ্রামে।
রেডিওর একজন প্রযোজকের কাছ থেকে উৎসাহ পেয়ে ইবসেনের ‘ওয়াইল্ড ডাক’-এর একটি রূপান্তরও দাঁড় করে ফেলেছি, সেটা প্রচারও হয়েছে। রেডিওতে অনুষ্ঠান করলে নগদানগদি একটা চেক পাওয়া যেত, কিন্তু সেটা ভাঙানোর জন্য ছুটতে হতো সদরঘাটে, সেখানে তখন রয়েছে স্টেট ব্যাংক।
কিন্তু আমার প্রধান বিনোদন ছিল পড়া। যা পাই তাই পড়ি। পড়া আমাকে হাতে ধরে নিয়ে পার করে দিয়েছে বিচ্ছিন্নতার সীমান্ত থেকে। আমার জন্য মস্তবড় আকর্ষণের জায়গা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাট গ্রন্থাগারটি; সেলফের কাছে যেতে পারি না, স্লিপ দিয়ে বই আনতে হয়, গ্রন্থাগারের ভেতরের জগৎটাকে মনে হয় রহস্যময়। দ্বিতীয় বর্ষেই যখন আমার চশমা নেওয়ার দরকার পড়ল, আমার বাবা বললেন, পেঙ্গুইনের ছোট ছোট অক্ষরের বই পড়তে গিয়ে ছেলেটার এই দশা। নিতান্ত ভুল বলেননি। পেঙ্গুইনে তখন গুরুত্বপূর্ণ সব বইই পাওয়া যেত, আর দামও ছিল খুব কম। বৃত্তির টাকা পেলেই প্রথমে ছুটতাম বইয়ের দোকানে। এখন যেখানে শহীদ মিনার তার উল্টো দিকে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি বইয়ের দোকান ছিল, মালিকরা জানতেন কোন বই চলবে, কোনটা চলবে না; সে অনুযায়ী পেঙ্গুইনের বই বেশ আনতেন। কিন্তু প্রচুর নয়। মনে পড়ে টি এস এলিয়টের ‘সিলেকটেড এসেজ’ এসেছে শুনে প্রায় দৌড়ে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি দুই কপি মাত্র আছে, আমি দ্রুত এক কপি হস্তগত করে ফেলেই আবিস্কার করি শামসুর রাহমানও এসে গেছেন, তিনি আমাদের তিন ক্লাস ওপরে পড়তেন, ইংরেজি বিভাগেই, তারও লক্ষ্যবস্তু এলিয়টের ওই বই। দ্বিতীয় কপিটি তিনি নিয়েছিলেন। আমাদের ওই মফস্বল শহরে বই পাওয়াটা মোটেই সহজ ছিল না।
অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি সাহিত্য পাঠদানের দুটি ধারা আছে। পরস্পরবিরোধী নয়, তবে পৃথক বটে। একটি ধারা পাঠের আনন্দকে শিক্ষার্থীদের ভেতর সংক্রমিত করার; অন্যটি ব্যাখ্যা-বিশ্নেষণের সাহায্যে রচনার সৌন্দর্য ও তাৎপর্যকে পরিস্কারভাবে তুলে ধরবার। আনন্দ দুটিতেই প্রাপ্য; তবে দু’ধরনের। এটা আমি পরিস্কারভাবে বুঝেছি শিক্ষকতায় ইংরেজি বিভাগে যোগ দেওয়ার অল্প পরেই। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে। লিডসের ইংরেজি বিভাগে বেশ তখন কয়েকজন জাঁদরেল অধ্যাপক ছিলেন। দু’জনের কথা আলাদা করে বলা দরকার। একজন প্রফেসর উলসন নাইট, অপরজন প্রফেসর আর্নল্ড কেট্ল। উলসন নাইট ছিলেন অসাধারণ পণ্ডিত; এবং সাহিত্যগত প্রাণ। অকৃতদার। বেশিরভাগ সময় কাটান ক্যাম্পাসে। আমাদের সময় পড়াতেন ব্রিটিশ ড্রামা; ক্লাসরুমের শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতেন একেবারে নাটকের প্রাণকেন্দ্রে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাব একবার মঞ্চস্থ করেছিল ‘দি মার্চেন্ট অব ভেনিস’; উলসন নাইট নেমেছিলেন সাইলকের ভূমিকায়। দেখলাম তিনি কেবল কুশলতার সঙ্গে নয় আনন্দ নিয়ে সাইলককে- মানুষটির বেদনা, প্রতিহিংসাপরায়ণতা, যন্ত্রণা, সবকিছুকে কেমন মূর্ত করে তুলেছেন। আইডয়ালিস্ট উইলসন নাইটের ঠিক বিপরীতে ছিলেন মার্কসবাদী প্রফেসর কেট্ল। দু’খণ্ডে তিনি বই লিখেছেন ইংরেজি উপন্যাসের ওপর। সেখানে তিনি তার আলোচ্য উপন্যাসগুলোর পটভূমির ইতিহাস, অর্থনীতি, লেখকের শ্রেণিগত অবস্থান, মতাদর্শ এমন পরিস্কারভাবে তুলে ধরেছেন, যাতে রচনার অর্থ গভীর থেকে গভীরতর হয়ে ওঠে। পাণ্ডিত্য দু’জনেরই ছিল, কিন্তু দুই ধরনের। আনন্দ এঁরা উভয়েই পেছনের, কিন্তু দু’ভাবে। একজন বলছেন হৃদয় ও বুদ্ধিকে একত্র করে যুক্ত হও। অপরজনের শিক্ষাটাও যুক্ত হওয়ারই, কিন্তু বার্তাটা এই যে, যুক্ত হবে বুঝেশুনে, যত বুঝবে ততই গভীর ও নিবিড় হবে তোমার সংযুক্তি।
আমাদের নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকেরা ক্লাসে খুবই যত্ন নিয়ে পড়াতেন; কিন্তু তাদের অধিকাংশই ছিলেন ব্যাখ্যাবাদী। সাহিত্যপাঠে তাদের আনন্দ ছিল, কিন্তু সে-আনন্দ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে তেমন একটা অভ্যস্ত ছিলেন না। ব্যতিক্রম ছিলেন দু’জন, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ও মুনীর চৌধুরী। এটা হয়তো নিতান্ত কাকতালীয় নয় যে, তারা দু’জনেই শহীদ হয়েছেন একাত্তরে। আমাদের সময়ে ছাত্রাবাসের ছেলেরা যখন নাটক করবার উদ্যোগ নিত তখন গুহঠাকুরতা স্যারের শরণাপন্ন হতো। ক্লাস রুমে আমাদের তিনি পড়িয়েছেন ‘অ্যাজ ইউ লাইক ইট’। দেখতাম তিনি জীবন্ত করে তুলতেন নাটকটিকে। একবার তিনি সুইনবর্নের ‘এটালান্টা ইন ক্যালিডন’ নাট্যকাব্য পড়াতে গিয়ে ইংরেজ কবির অ্যাফ্রোডাইটির উপস্থাপনার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের ‘উর্বশী’র। দুটি টেক্সটই পাঠ করে শুনিয়েছেন। তিনি বলে দেননি, কিন্তু আমাদের পক্ষে বুঝতে বিন্দুমাত্র কষ্ট হয়নি যে রবীন্দ্রনাথ কতটা উঁচুমানের কবি ছিলেন অন্যদের তুলনায়।
মুনীর চৌধুরী দীর্ঘসময় আমাদের বিভাগে থাকেননি। তবে ওই অল্প সময়েই আমরা তার ক্লাস করার সুযোগে টের পেয়েছি যে, সাহিত্যপাঠের আনন্দকে অত্যন্ত প্রাণবন্ত করে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে চাইতেন এবং জানতেন। মুনীর চৌধুরী যে নিজে নাটক লিখতেন এবং মঞ্চে অভিনয়ও করেছেন, সেটা তো এমনি এমনি নয়।
মুনীর চৌধুরীর সহপাঠী ছিলেন সৈয়দ আলী আশরাফ। উভয়েই যোগ দিয়েছিলেন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে, তবে আশরাফ স্যার যখন গেছেন কেমব্রিজে, মুনীর স্যার তখন গেছেন কারাগারে। ভিন্ন যাত্রা, কিন্তু ফল অভিন্ন; দু’জনেই উচ্চশিক্ষা নিয়ে ফিরেছেন। কেমব্রিজে তখন টেক্সচ্যুয়াল ক্রিটিসিজমের যুগ। আশরাফ স্যার সেই শিক্ষাটা নিয়ে এসেছিলেন। ফলে ক্লাসরুমে তার কবিতার ব্যাখ্যা দাঁড়াত আমাদের জন্য অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। তবে মুনীর স্যার আর আশরাফ স্যারের ধরনটা ছিল পৃথকই। দু’জনই অত্যন্ত উঁচুমানের শিক্ষক, তবে একজন ছিলেন আনন্দবাদী, অপরজন বোদ্ধাবাদী। আনন্দ-সংক্রমণে যারা আগ্রহী তারা যে পাঠ্য টেক্সটের অর্থের গভীরে যেতে চান না তা মোটেই নয়, তারাও গবেষণা করেন, ব্যাখ্যা করেন; কিন্তু সেখানেই থেমে যান না। জ্ঞান তাদের আনন্দকে বাড়িয়ে দেয়। উইলসন নাইটের পাণ্ডিত্যে ও বিশ্নেষণ ক্ষমতায় সন্দেহ করবে কে; কিন্তু তিনি সাহিত্যকে শুকনো থাকতে দিতে নারাজ, সাহিত্যকে তিনি প্রাণবন্ত না-করে রেহাই দেবেন না। উইলসন নাইটের মতাদর্শিক রক্ষণশীলতাটা কেউ কেউ হয়তো পছন্দ করেন না, কিন্তু সাহিত্যপাঠ দানের তার ধারাটি শিক্ষার্থীদের ভেতরে যুক্ত হওয়ার শক্তিটাকে যে বাড়িয়ে দেয় তাতে তো কোনো সন্দেহ নেই।
আমাদের শিক্ষকদের একজন ছিলেন বি সি রায়। অকৃতদার এবং পরিপূর্ণরূপে সাহিত্যমনস্ক। মনে হতো সর্বক্ষণ পড়ছেন। অনার্স পরীক্ষার আগে কিছুদিনের জন্য তার সঙ্গে আমার একটা নীরব প্রতিযোগিতা চলেছিল। কে আগে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারে। আমি আসতাম আগে, না এলে বই অন্যের দখলে চলে যাবে এই শঙ্কায়। স্যার আসতেন ভেতরের তাগিদে। প্রায়ই দেখতাম আমি হেরে যাচ্ছি তার কাছে। এ পর্যন্ত লিখে হঠাৎ আমার মনে হলো, আমাদের ওই শিক্ষক কি আরেকজন উইলসন নাইট হতে পারতেন? উইলসন নাইটের মতোই তিনিও তো সাহিত্যকেই আপন ভুবন হিসেবে মানতেন। না; এক রকমের হওয়া সম্ভব ছিল না। মেধা ও সুযোগের কথা বাদ থাক, তাদের অন্তর্গত তাগিদটাই ছিল দু’ধরনের। শিক্ষা এবং সংস্কৃতিও।
শিক্ষাদানের ওই দুই ধারার একটি যে অপরটিকে নাকচ করে তা মোটেই নয়; তারা সহঅবস্থান করে, এবং করাটাই ভালো, তাতে উভয় ধারারই সমৃদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে; এবং জীবন, সভ্যতা ও প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার যে প্রেরণা ও শিক্ষা সাহিত্য জোগায় সেটা আরও বিস্তৃত ও ফলপ্রসূ হয়ে ওঠে।
শেষ করি এই কথাটা বলে যে, গত একশ বছরে ইংরেজি বিভাগ থেকে অনেক যশস্বী ব্যক্তি বের হয়েছেন; তাদের স্মরণ করা হয়; স্মরণ করাটা দরকারও। কিন্তু আমরা যেন না ভুলি লীলা নাগকে; যিনি কেবল ইংরেজি বিভাগেরই নন, বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রথম ছাত্রী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সময়ের প্রথম ও একমাত্র মহিলা পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট তিনি। ভর্তি হয়েছিলেন অনিচ্ছুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তর্কবিতর্ক করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রীশূন্য অবস্থায় যাত্রা শুরুর লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়ে। পরবর্তী সময়ে তিনি জনমুক্তির সঙ্গে পরিপূর্ণরূপে যুক্ত হয়েছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী রাজনীতি করেছেন, রাজবন্দি ছিলেন দীর্ঘকাল; নারীশিক্ষার প্রসারের জন্য ঢাকা শহরে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সম্পাদনা করতেন মাসিক পত্রিকা। বিভাগে তার সহপাঠী অনিল রায়ও ছিলেন রাজনীতিমনস্ক। দু’জনেই সুভাষ বসুর ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন; এবং স্বামী-স্ত্রী ছিলেন তারা ব্যক্তিগত জীবনে।
স্মরণ করা দরকার আরও দু’জন শিক্ষককে। অমলেন্দু বসু ও অমিয়ভূষণ চক্রবর্তী। সাতচল্লিশের দেশভাগের সময় বিভাগীয় শিক্ষক অমলেন্দু বসু ডক্টরেট করছিলেন অক্সফোর্ডে। তিনি আর ঢাকায় ফেরেননি। অমলেন্দু বসু ছিলেন পূর্ববঙ্গেরই মানুষ। অমিয়ভূষণ চক্রবর্তী দেশভাগের পরেও কিছুদিন ছিলেন। তিনিও পূর্ববঙ্গীয়। স্থায়ীভাবে থাকবেন এমন ভাবনা নিশ্চয়ই তার ছিল; কিন্তু পারলেন না, কারণ তার যোগ ছিল গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে; ঢাকায় থাকলে হয়তো সাহিত্যের বস্তুবাদী ধারার ব্যাখ্যা চালু রাখতে পারতেন, আর্নল্ড কেট্ল যেমনটা রেখেছিলেন, লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Discussion about this post