খেলাধূলা ডেস্ক
কথা বলতে পারেন না, সতীর্থদের অনেক কিছুই বোঝাতে পারেন না, তবে কোচের ইশারায় ইনসুইং আর আউট সুইংয়ে ব্যাটসম্যানকে পরাস্থ করতে কোনো সমস্যা হয় না। ১৩৮ প্লাস গতিতে বল করতে পারার সাথে আছে স্ট্রেট আর্মে বল করার দক্ষতা। সব কিছু মিলে একজন আদর্শ পেসারের প্যাকেজ বলা যেতে পারে আকসারকে।
ইনসুইং, আউটসুইং, বাউন্স, গতি, ভ্যারিয়েশন- সবকিছু মিলিয়েই আকসার। একজন ভালো ব্যাটারকে বিভ্রান্ত করতে যা প্রয়োজন তার সবই বিদ্যমান তার মাঝে।
আকসারের প্রতি দশ বলের তথ্য নিলে দেখা যায়, ৫টি বল ব্যাটারের ব্যাটেই লাগছে না। ৩ টি বল খেলতে ব্যাটার নিচ্ছেন রক্ষণাত্মক কৌশল, না হলে পড়তে হচ্ছে মুশকিলে। আর বাকি দুই বলে আকসার উপড়ে ফেলছেন স্ট্যাম্প কিংবা ফেলছেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে।
১৩৮ এর বেশি গতিতে বল করতে পারেন ৬ ফিট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার আকসার। এতসব থাকা এই পিতৃহীন আকসারের মুখে নেই ভাষা, অন্য শব্দে আকসার একজন বাকপ্রতিবন্ধী।কোচের ইশারায় ঠিক জায়গা মতই বলগুলো করছেন। ইশারাতেই বুঝছেন ইনসুইং কিংবা আউট সুইংয়ের নির্দেশনা।
একাত্তর একাডেমির কোচ হাফিজ মোহাম্মদ সোহেল বলেন, সব ধরনের বলই করতে পারে আকসার। অফ কাটার, লেগ কাটার, ইয়র্কার সবই তার দখলে। তার মূল শক্তি আউট সুইং। ইনসুইংয়ে এখনও কিছুটা দুর্বলতা আছে।সিলেট থেকে উঠে আসে আকসারের ধ্যানজ্ঞানজুড়ে শুধুই বোলিং, বোলিং আর বোলিং। সবকিছু মিলিয়ে তার খাবারের নাম বোলিং, তার ঘুমের উপাদানও বোলিং। সারাক্ষণই চলে ক্রিকেট বিশ্লেষণ আর পর্যবেক্ষণ।
তার সময় কাটে বিশ্বসেরা নামীদামি সব পেসারের বোলিং দেখে।একজন পেস বোলারের যে যে গুণ থাকা প্রয়োজন তার সবই আছে। স্রষ্টা প্রদত্ত গুণগুলো আছে একটু বেশিই। তবু এখন পর্যন্ত ডাক পাননি বিসিবি বা কোনো ক্লাব থেকে। যার অন্যতম কারণ মুখের ভাষা। কিন্তু যার কাছে ক্রিকেটের সব ব্যাকরণ ও সব ভাষাই জানা, তার কাছে মুখের ভাষা কি আদৌ কোনো সমস্যা?
Discussion about this post